বরগুনায় সাংবাদিক মুশফিক আরিফের গোপন ভিডিও ভাইরাল - Porikroma News
Connect with us

অপরাধ

বরগুনায় সাংবাদিক মুশফিক আরিফের গোপন ভিডিও ভাইরাল

Published

on

মুসফিক আরিফ
ছবি : সংগৃহীত

হানি ট্র্যাপিং, ব্লাক মেইলিং, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, নারী ব্যবসার অভিযোগ

বরগুনার সাংবাদিক মুশফিক আরিফ। হানি ট্র্যাপের মাস্টার মাইন্ড। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শতাধিক ফেইক আইডির জনক হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। মুশফিক আরিফের ব্লাক মেইলের শিকার হয়ে একাধিক নারী বাধ্য হয়েছেন হানি ট্র্যাপের টোপ হতে। এমন অভিযোগের অডিও ক্লিপ রয়েছে অপরাধ বিচিত্রার কাছে। সেই মুশফিক আরিফ এবার নিজেই ফেঁসে গেছেন নিজের পাতা হানি ট্র্যাপে।

সম্প্রতি মুশফিক আরিফের গোপন দুটি ভিডিও স্থানীয়দের ইনবক্সে এবং হোয়াটসআ্যাপে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে পুরো বরগুনা জুড়ে। ভিডিও দুটির একটিতে দেখা গেছে, শহরের অতি পরিচিত এক তরুণের স্ত্রীর সাথে রাতভর যৌন আলাপরত মুশফিক আরিফ। ভিডিওটিতে দেখা গেছে মুশফিক আরিফের বিকৃত যৌন আচরণের দৃশ্য। অপর ভিডিওটি কুয়াকাটার একটি হোটেলের। সেখানে অপর আরেক নারীর সাথে মুশফিক আরিফের যৌন মিলনের দৃশ্য রয়েছে ওই ভিডিওটিতে।

মাছরাঙা টেলিভিশনের বরগুনা প্রতিনিধি, খেলাঘর বরগুনার সাধারণ সম্পাদক, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-র সদস্য সচিব মুশফিক আরিফ। তার বিরুদ্ধে সুদীর্ঘ বছর ধরে সুকৌশলে নারী ব্যবসা, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ব্লাক মেইলিং ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের পদলেহন এবং হানি ট্র্যাপ ও সাইবার অপরাধসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে।

তারপরেও স্বনামধন্য গণমাধ্যম মাছরাঙা টিভিসহ একাধিক সামাজিক প্রতিষ্ঠানে মুশফিক আরিফ কর্মরত রয়েছেন বহাল তবিয়তে। যদিও প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ( স্নাতক বা সমমানের সার্টিফিকেট) না থাকায় এবং প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা বিরোধী একাধিক অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে সন্দোতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ইতিমধ্যেই ঐতিহ্যবাহী বরগুনা প্রেসক্লাব থেকে বহিস্কার করা হয়েছে মুশফিক আরিফকে। বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় দায়ের করা দ্রুত বিচার আইনের মামলার প্রধান আসামী মুশফিক আরিফ। এ মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মুশফিক। বর্তমানে জামিনে আছেন তিনি।

এছাড়াও নিরীহ অনেক মানুষকে ব্লাক মেইল এবং হয়রাণি করার অভিযোগে মুশফিক আরিফের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে সাইবার ট্রাইবুনালে। এসব মামলার কারণে আদালতের নির্দেশে মুশফিক আরিফের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটব জব্দ করেছে পুলিশ। বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য।

মুশফিক আরিফ বরগুনার খেলাঘরকে ব্যবহার করেছেন রাজনৈতিক দলের মত। খেলাঘরের সুযোগ্য ও সৃজনশীল অনেক তরুণকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রক্ত চক্ষু দেখিয়ে ১৩ বছর ধরে খেলাঘর বরগুনার সেক্রেটারির পদ কুক্ষিগত করে রেখেছেন মুশফিক আরিফ। খেলা ঘরের জিম্মি তরুণদের এ অভিযোগ যেন শোনার কেউ নেই। খেলাঘরের অনেক মেয়েকে নিজের প্রাইভেট কারে কুয়াকাটা নিয়ে ভোগ করেন মুশফিক আরিফ। সেসব গোপন মুহুর্তের ভিডিওধারণ করে একাধিক নারীকে বছরের পর বছর ধরে ব্লাক মেইল করেছেন আরিফ। হাতিয়ে নিয়েছেন টাকা পয়সা, স্বর্নালংকার। অনেক নারীকে হানি ট্র্যাপের টোপ হিসেবে কাজে লাগিয়ে জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে অনেক সরকারি আমলাদের কাছ থেকে নানা অপকৌশলে বাগিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ এবং নিয়োগসহ নানা সুযোগ সুবিধা।

বরগুনার স্থানীয়দের মুখে মুখে একটি কথার প্রচলন রয়েছে। মুশফিক আরিফের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি এমন একটি মানুষও বরগুনায় খুঁজে পাওয়া যাবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিবেশবাদী সংগঠন ধরা এবং খেলাঘরের প্রভাব খাটিয়ে অনেক নিরীহ মানুষকে ব্লাক মেইল করেছেন মুশফিক। ব্যক্তিগত শত্রুতার জের হিসেবে এসব সংগঠনকে বাজে ভাবে ব্যবহার করেছেন তিনি। এমন একাধিক নিরীহ ভুক্তভোগীর অডিও বক্তব্য এসেছে পরিক্রমার হাতে।

বরগুনার সাবেক জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানকে একই প্রক্রিয়ায় হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে ব্লাক মেইল করেছেন মুশফিক আরিফ। ওই জেলা প্রশাসককে হানি ট্র্যাপের ভিডিওর ভয় দেখিয়ে নিজের ফেসবুকে একাধিক সিগন্যাল দিয়েছিলেন মুশফিক আরিফ। কাজ উদ্ধার করতে না পেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওপেন করে দেন মুশফিক আরিফ।

মুশফিক আরিফের মা খালেদা আক্তার সুইটি ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। জেলা আওয়ামী লীগের উর্ধ্বতন সকল নেতৃবৃন্দের ঘনিষ্ঠ সহচর সুইটি। মুশফিক আরিফ ও তার মা সারা জীবন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। নানা সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। করেছেন বাড়ি গাড়ি। এরপর সাবেক পৌর মেয়র অ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজের সরাসরি নির্বাচন করেছেন মুশফিক। সবশেষে পল্টি মেরে আওয়ামী শাসনামলের সর্বশেষ এমপি গোলাম সরোয়ার টুকুর সরাসরি নির্বাচন করেছেন মুশফিক আরিফ। পরে এমপি টুকুর বডিগার্ড হিসেবে চাকরি করতেন তিনি। ঠিকাদারি বাণিজ্যের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা।

৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে হানি ট্র্যাপের মাস্টার মাইন্ড এবং দালাল সাংবাদিকতার পথিকৃত এই মুশফিক আরিফ ভোল পাল্টে এখন বিএনপি ও এনসিপির নেতাকর্মীদের পেছনে ঘুরছেন ক্ষমতার নতুন সমীকরণের মিশনে।

মুশফিক আরিফ এবং হারুন অর রশিদ রিংকু নামের দুই জন সদস্য পদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন বরগুনা প্রেসক্লাব বরাবর এবং তাদের আবেদন সাংগঠনিক নিয়মে ২০০৭ সালের ১৩ জুলাই বাতিল হয়ে যায়। তৎকালীন সময় বাংলাদেশে সেনা সমর্থিত সরকারের বরগুনার দায়িত্বে থাকা একজন সেনা কর্মকর্তাকে ভুল বুঝিয়ে তার প্রভাব খাটিয়ে ২০০৭ সালের ১৯ জুলাই গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক বরগুনা প্রেসক্লাব এর সদস্য পদ বাগিয়ে নেন তারা। তখন মুশফিক আরিফ কাজ করতেন দেশ বাংলা নামের একটি পত্রিকায়। তখন তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল শুধুমাত্র এসএসসি পাস। এরপর ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে বাঁধে বিপত্তি। 

 পরিক্রমার হাতে আসা কিছু ডকুমেন্টে  দেখা যায় ২০০৮ সালের ১৫ই এপ্রিল অ্যাড. সঞ্জিব দাস স্বাক্ষরিত বরগুনা প্রেসক্লাব এর সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়। যেখানে উল্লেখ করা হয়  মুশফিক আরিফ ও হারুন অর রশিদ রিংকুকে সদস্য পদ প্রদান এর অনিয়ম প্রসঙ্গে।


সদস্য পদ বাতিল প্রসঙ্গে আরেকটি ডকুমেন্টে দেখা যায় মুশফিক আরিফের শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা এবং ২০০৭ সালের তৎকালীন বরগুনা প্রেসক্লাবের কমিটির উপর প্রভাব খাটিয়ে বরগুনা প্রেসক্লাবের সদস্য পদ নেয়ার কারনে ২০০৮ সালের ১৮ই মে তারিখের এক সভায় তার সদস্য পদ বাতিল করে বরগুনা প্রেসক্লাব। তবে স্থানীয় অনেকে বলেন সেদিন এক প্রকার অস্ত্র ঠেকিয়ে সদস্য পদ নিয়েছিলেন এই মুশফিক আরিফ। 

২০০৮ সালের আরেকটি ডকুমেন্টে দেখা যায় তখনকার সভাপতি আনোয়ার হোসেন মনোয়ার এবং সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা কাদের বরগুনা প্রেসক্লাব সভাপতি ও সম্পাদক বরাবরে ২০০৮ সালের ২২ এপ্রিল একটি ডকুমেন্ট সাবমিট করে। সেখানে উল্লেখ করা হয় ২০০৭ সালে প্রচন্ড মানসিক চাপের মুখে ফেলে সাংগঠনিক রীতি লঙ্ঘন করে সদস্য পদ নিয়েছিলেন মুশফিক আরিফ এবং রিংকু। 

মুশফিক আরিফের সেই ভিডিও এবং পরবর্তী রিপোর্ট দেখতে পরিক্রমা নিউজ এর সাথেই থাকুন।

অনুসন্ধান চলমান আছে।

Share

হানি ট্র্যাপিং, ব্লাক মেইলিং, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, নারী ব্যবসার অভিযোগ

বরগুনার সাংবাদিক মুশফিক আরিফ। হানি ট্র্যাপের মাস্টার মাইন্ড। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শতাধিক ফেইক আইডির জনক হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। মুশফিক আরিফের ব্লাক মেইলের শিকার হয়ে একাধিক নারী বাধ্য হয়েছেন হানি ট্র্যাপের টোপ হতে। এমন অভিযোগের অডিও ক্লিপ রয়েছে অপরাধ বিচিত্রার কাছে। সেই মুশফিক আরিফ এবার নিজেই ফেঁসে গেছেন নিজের পাতা হানি ট্র্যাপে।

সম্প্রতি মুশফিক আরিফের গোপন দুটি ভিডিও স্থানীয়দের ইনবক্সে এবং হোয়াটসআ্যাপে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে পুরো বরগুনা জুড়ে। ভিডিও দুটির একটিতে দেখা গেছে, শহরের অতি পরিচিত এক তরুণের স্ত্রীর সাথে রাতভর যৌন আলাপরত মুশফিক আরিফ। ভিডিওটিতে দেখা গেছে মুশফিক আরিফের বিকৃত যৌন আচরণের দৃশ্য। অপর ভিডিওটি কুয়াকাটার একটি হোটেলের। সেখানে অপর আরেক নারীর সাথে মুশফিক আরিফের যৌন মিলনের দৃশ্য রয়েছে ওই ভিডিওটিতে।

মাছরাঙা টেলিভিশনের বরগুনা প্রতিনিধি, খেলাঘর বরগুনার সাধারণ সম্পাদক, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-র সদস্য সচিব মুশফিক আরিফ। তার বিরুদ্ধে সুদীর্ঘ বছর ধরে সুকৌশলে নারী ব্যবসা, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ব্লাক মেইলিং ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের পদলেহন এবং হানি ট্র্যাপ ও সাইবার অপরাধসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে।

তারপরেও স্বনামধন্য গণমাধ্যম মাছরাঙা টিভিসহ একাধিক সামাজিক প্রতিষ্ঠানে মুশফিক আরিফ কর্মরত রয়েছেন বহাল তবিয়তে। যদিও প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ( স্নাতক বা সমমানের সার্টিফিকেট) না থাকায় এবং প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা বিরোধী একাধিক অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে সন্দোতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ইতিমধ্যেই ঐতিহ্যবাহী বরগুনা প্রেসক্লাব থেকে বহিস্কার করা হয়েছে মুশফিক আরিফকে। বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় দায়ের করা দ্রুত বিচার আইনের মামলার প্রধান আসামী মুশফিক আরিফ। এ মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মুশফিক। বর্তমানে জামিনে আছেন তিনি।

এছাড়াও নিরীহ অনেক মানুষকে ব্লাক মেইল এবং হয়রাণি করার অভিযোগে মুশফিক আরিফের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে সাইবার ট্রাইবুনালে। এসব মামলার কারণে আদালতের নির্দেশে মুশফিক আরিফের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটব জব্দ করেছে পুলিশ। বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য।

মুশফিক আরিফ বরগুনার খেলাঘরকে ব্যবহার করেছেন রাজনৈতিক দলের মত। খেলাঘরের সুযোগ্য ও সৃজনশীল অনেক তরুণকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রক্ত চক্ষু দেখিয়ে ১৩ বছর ধরে খেলাঘর বরগুনার সেক্রেটারির পদ কুক্ষিগত করে রেখেছেন মুশফিক আরিফ। খেলা ঘরের জিম্মি তরুণদের এ অভিযোগ যেন শোনার কেউ নেই। খেলাঘরের অনেক মেয়েকে নিজের প্রাইভেট কারে কুয়াকাটা নিয়ে ভোগ করেন মুশফিক আরিফ। সেসব গোপন মুহুর্তের ভিডিওধারণ করে একাধিক নারীকে বছরের পর বছর ধরে ব্লাক মেইল করেছেন আরিফ। হাতিয়ে নিয়েছেন টাকা পয়সা, স্বর্নালংকার। অনেক নারীকে হানি ট্র্যাপের টোপ হিসেবে কাজে লাগিয়ে জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে অনেক সরকারি আমলাদের কাছ থেকে নানা অপকৌশলে বাগিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ এবং নিয়োগসহ নানা সুযোগ সুবিধা।

বরগুনার স্থানীয়দের মুখে মুখে একটি কথার প্রচলন রয়েছে। মুশফিক আরিফের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি এমন একটি মানুষও বরগুনায় খুঁজে পাওয়া যাবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিবেশবাদী সংগঠন ধরা এবং খেলাঘরের প্রভাব খাটিয়ে অনেক নিরীহ মানুষকে ব্লাক মেইল করেছেন মুশফিক। ব্যক্তিগত শত্রুতার জের হিসেবে এসব সংগঠনকে বাজে ভাবে ব্যবহার করেছেন তিনি। এমন একাধিক নিরীহ ভুক্তভোগীর অডিও বক্তব্য এসেছে পরিক্রমার হাতে।

বরগুনার সাবেক জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানকে একই প্রক্রিয়ায় হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে ব্লাক মেইল করেছেন মুশফিক আরিফ। ওই জেলা প্রশাসককে হানি ট্র্যাপের ভিডিওর ভয় দেখিয়ে নিজের ফেসবুকে একাধিক সিগন্যাল দিয়েছিলেন মুশফিক আরিফ। কাজ উদ্ধার করতে না পেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওপেন করে দেন মুশফিক আরিফ।

মুশফিক আরিফের মা খালেদা আক্তার সুইটি ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। জেলা আওয়ামী লীগের উর্ধ্বতন সকল নেতৃবৃন্দের ঘনিষ্ঠ সহচর সুইটি। মুশফিক আরিফ ও তার মা সারা জীবন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। নানা সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। করেছেন বাড়ি গাড়ি। এরপর সাবেক পৌর মেয়র অ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজের সরাসরি নির্বাচন করেছেন মুশফিক। সবশেষে পল্টি মেরে আওয়ামী শাসনামলের সর্বশেষ এমপি গোলাম সরোয়ার টুকুর সরাসরি নির্বাচন করেছেন মুশফিক আরিফ। পরে এমপি টুকুর বডিগার্ড হিসেবে চাকরি করতেন তিনি। ঠিকাদারি বাণিজ্যের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা।

৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে হানি ট্র্যাপের মাস্টার মাইন্ড এবং দালাল সাংবাদিকতার পথিকৃত এই মুশফিক আরিফ ভোল পাল্টে এখন বিএনপি ও এনসিপির নেতাকর্মীদের পেছনে ঘুরছেন ক্ষমতার নতুন সমীকরণের মিশনে।

মুশফিক আরিফ এবং হারুন অর রশিদ রিংকু নামের দুই জন সদস্য পদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন বরগুনা প্রেসক্লাব বরাবর এবং তাদের আবেদন সাংগঠনিক নিয়মে ২০০৭ সালের ১৩ জুলাই বাতিল হয়ে যায়। তৎকালীন সময় বাংলাদেশে সেনা সমর্থিত সরকারের বরগুনার দায়িত্বে থাকা একজন সেনা কর্মকর্তাকে ভুল বুঝিয়ে তার প্রভাব খাটিয়ে ২০০৭ সালের ১৯ জুলাই গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক বরগুনা প্রেসক্লাব এর সদস্য পদ বাগিয়ে নেন তারা। তখন মুশফিক আরিফ কাজ করতেন দেশ বাংলা নামের একটি পত্রিকায়। তখন তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল শুধুমাত্র এসএসসি পাস। এরপর ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে বাঁধে বিপত্তি। 

 পরিক্রমার হাতে আসা কিছু ডকুমেন্টে  দেখা যায় ২০০৮ সালের ১৫ই এপ্রিল অ্যাড. সঞ্জিব দাস স্বাক্ষরিত বরগুনা প্রেসক্লাব এর সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়। যেখানে উল্লেখ করা হয়  মুশফিক আরিফ ও হারুন অর রশিদ রিংকুকে সদস্য পদ প্রদান এর অনিয়ম প্রসঙ্গে।


সদস্য পদ বাতিল প্রসঙ্গে আরেকটি ডকুমেন্টে দেখা যায় মুশফিক আরিফের শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা এবং ২০০৭ সালের তৎকালীন বরগুনা প্রেসক্লাবের কমিটির উপর প্রভাব খাটিয়ে বরগুনা প্রেসক্লাবের সদস্য পদ নেয়ার কারনে ২০০৮ সালের ১৮ই মে তারিখের এক সভায় তার সদস্য পদ বাতিল করে বরগুনা প্রেসক্লাব। তবে স্থানীয় অনেকে বলেন সেদিন এক প্রকার অস্ত্র ঠেকিয়ে সদস্য পদ নিয়েছিলেন এই মুশফিক আরিফ। 

২০০৮ সালের আরেকটি ডকুমেন্টে দেখা যায় তখনকার সভাপতি আনোয়ার হোসেন মনোয়ার এবং সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা কাদের বরগুনা প্রেসক্লাব সভাপতি ও সম্পাদক বরাবরে ২০০৮ সালের ২২ এপ্রিল একটি ডকুমেন্ট সাবমিট করে। সেখানে উল্লেখ করা হয় ২০০৭ সালে প্রচন্ড মানসিক চাপের মুখে ফেলে সাংগঠনিক রীতি লঙ্ঘন করে সদস্য পদ নিয়েছিলেন মুশফিক আরিফ এবং রিংকু। 

মুশফিক আরিফের সেই ভিডিও এবং পরবর্তী রিপোর্ট দেখতে পরিক্রমা নিউজ এর সাথেই থাকুন।

অনুসন্ধান চলমান আছে।

Share