গোপালগঞ্জে নিহত ৫, ময়নাতদন্ত হয়নি কেন? - Porikroma News
Connect with us

বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে নিহত ৫, ময়নাতদন্ত হয়নি কেন?

Published

on

গোপালগঞ্জে নিহত ৫, ময়নাতদন্ত হয়নি কেন?
যদিও গোপালগঞ্জের ঘটনা নিয়ে পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, উচ্ছৃঙ্খল জনতার কারণেই মৃতদেহগুলোর ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি। তারা আগেই মৃতদেহ নিয়ে গেছে।

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় নিহতদের কারও মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়নি, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন ও বিতর্ক।

প্রথম চারজন নিহত হন ঘটনাস্থলেই, তাদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়। পঞ্চম ব্যক্তি মারা যান শুক্রবার (১৮ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। পুলিশের দাবি, উচ্ছৃঙ্খল জনতা মরদেহ জোর করে নিয়ে যাওয়ায় ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে নিহতদের পরিবার বলছে, হাসপাতাল ও প্রশাসনের সহযোগিতা না পেয়ে বাধ্য হয়েই তারা মরদেহ দাফন করেছেন।

নিহত রমজান কাজীর বাবা কামরুল কাজী বলেন, “আমার ছেলের শরীর দিয়ে গুলি ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে। কেউ কোনো সাহায্য করেনি।” সোহেল মোল্লার স্ত্রী নিশি বেগম বলেন, “আমার স্বামী কোনো অপরাধ করেনি, তবু তাকে গুলি করা হয়েছে।”

বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবীরা বলছেন, ময়নাতদন্ত না হওয়া অপরাধ তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় বড় বাধা। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, “এ ধরনের ঘটনায় পোস্টমর্টেম না হলে, ভবিষ্যতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে মামলা চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।”

তিনি আরও বলেন, “আদালতের নির্দেশে কবর থেকেও মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা যেতে পারে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে বিচার সম্ভব।”

গোপালগঞ্জের ঘটনায় নিহতদের বিষয়ে ময়নাতদন্তের ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

Share

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় নিহতদের কারও মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়নি, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন ও বিতর্ক।

প্রথম চারজন নিহত হন ঘটনাস্থলেই, তাদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়। পঞ্চম ব্যক্তি মারা যান শুক্রবার (১৮ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। পুলিশের দাবি, উচ্ছৃঙ্খল জনতা মরদেহ জোর করে নিয়ে যাওয়ায় ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে নিহতদের পরিবার বলছে, হাসপাতাল ও প্রশাসনের সহযোগিতা না পেয়ে বাধ্য হয়েই তারা মরদেহ দাফন করেছেন।

নিহত রমজান কাজীর বাবা কামরুল কাজী বলেন, “আমার ছেলের শরীর দিয়ে গুলি ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে। কেউ কোনো সাহায্য করেনি।” সোহেল মোল্লার স্ত্রী নিশি বেগম বলেন, “আমার স্বামী কোনো অপরাধ করেনি, তবু তাকে গুলি করা হয়েছে।”

বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবীরা বলছেন, ময়নাতদন্ত না হওয়া অপরাধ তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় বড় বাধা। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, “এ ধরনের ঘটনায় পোস্টমর্টেম না হলে, ভবিষ্যতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে মামলা চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।”

তিনি আরও বলেন, “আদালতের নির্দেশে কবর থেকেও মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা যেতে পারে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে বিচার সম্ভব।”

গোপালগঞ্জের ঘটনায় নিহতদের বিষয়ে ময়নাতদন্তের ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

Share