ইরানের হামলায় অচল ইসরায়েলের তেল শোধনাগার - Porikroma News
Connect with us

আন্তর্জাতিক

ইরানের হামলায় অচল ইসরায়েলের তেল শোধনাগার

Published

on

ইরানের হামলায় অচল ইসরায়েলের তেল শোধনাগার
হাইফা তেল শোধনাগার এলাকায় ইরানের মিসাইল হামলা। ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইসরায়েলের দুটি প্রধান তেল শোধনাগার—আশদোদ ও হাইফা। ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) জানিয়েছে, অত্যন্ত কৌশলগতভাবে এই হামলা পরিচালনা করা হয়, যার লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের অর্থনীতি ও সামরিক সক্ষমতার মেরুদণ্ডে আঘাত হানা।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পার্সটুডের তথ্য অনুযায়ী, আশদোদ শোধনাগারটি ১৫ জুন থেকে বন্ধ রয়েছে এবং নানা প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এখনো তা সচল হয়নি। এতে শোধনাগার কর্তৃপক্ষের ১ কোটি ৩০ লাখ থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের ক্ষতি হয়েছে। ফলে ইসরায়েল এখন জ্বালানি আমদানির উপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছে।

অন্যদিকে, হাইফায় অবস্থিত বাজান গ্রুপের মালিকানাধীন শোধনাগার, যা দেশের দুই-তৃতীয়াংশ জ্বালানি সরবরাহ করে, সেখানে হামলায় বয়লার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পুরোপুরি অচল হয়ে গেছে। ফলে দেশটিতে পেট্রোল উৎপাদন প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে।

এই হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল—
১. অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করা: শোধনাগারগুলোর মাধ্যমে ইসরায়েলের শিল্প ও জ্বালানি খাত কার্যত পঙ্গু করে দেওয়া।
২. সামরিক ক্ষমতা দুর্বল করা: হাইফা শোধনাগার ছিল জেট জ্বালানির উৎস, যা বিমানবাহিনীর কার্যক্রমে প্রভাব ফেলবে।
৩. কৌশলগত প্রতিশোধ: ইসরায়েলি কোম্পানির বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার জবাব হিসেবে এই আঘাত।

এই পরিকল্পিত ও কৌশলগত হামলা ইসরায়েলের জ্বালানি নির্ভরতা, সামরিক কার্যক্ষমতা এবং অর্থনীতিকে একযোগে আঘাত করেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।


Share
Continue Reading
Click to comment

সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইসরায়েলের দুটি প্রধান তেল শোধনাগার—আশদোদ ও হাইফা। ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) জানিয়েছে, অত্যন্ত কৌশলগতভাবে এই হামলা পরিচালনা করা হয়, যার লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের অর্থনীতি ও সামরিক সক্ষমতার মেরুদণ্ডে আঘাত হানা।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পার্সটুডের তথ্য অনুযায়ী, আশদোদ শোধনাগারটি ১৫ জুন থেকে বন্ধ রয়েছে এবং নানা প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এখনো তা সচল হয়নি। এতে শোধনাগার কর্তৃপক্ষের ১ কোটি ৩০ লাখ থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের ক্ষতি হয়েছে। ফলে ইসরায়েল এখন জ্বালানি আমদানির উপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছে।

অন্যদিকে, হাইফায় অবস্থিত বাজান গ্রুপের মালিকানাধীন শোধনাগার, যা দেশের দুই-তৃতীয়াংশ জ্বালানি সরবরাহ করে, সেখানে হামলায় বয়লার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পুরোপুরি অচল হয়ে গেছে। ফলে দেশটিতে পেট্রোল উৎপাদন প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে।

এই হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল—
১. অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করা: শোধনাগারগুলোর মাধ্যমে ইসরায়েলের শিল্প ও জ্বালানি খাত কার্যত পঙ্গু করে দেওয়া।
২. সামরিক ক্ষমতা দুর্বল করা: হাইফা শোধনাগার ছিল জেট জ্বালানির উৎস, যা বিমানবাহিনীর কার্যক্রমে প্রভাব ফেলবে।
৩. কৌশলগত প্রতিশোধ: ইসরায়েলি কোম্পানির বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার জবাব হিসেবে এই আঘাত।

এই পরিকল্পিত ও কৌশলগত হামলা ইসরায়েলের জ্বালানি নির্ভরতা, সামরিক কার্যক্ষমতা এবং অর্থনীতিকে একযোগে আঘাত করেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।


Share