গাজায় ইসরায়েলিদের ঠিকাদার দিয়ে বাড়িঘর ধ্বংস - Porikroma News
Connect with us

আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলিদের ঠিকাদার দিয়ে বাড়িঘর ধ্বংস

Published

on

গাজায় ইসরায়েলিদের ঠিকাদার দিয়ে বাড়িঘর ধ্বংস
গাজা শহরের ভেতরে একটি বুলডোজারের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন এক ইসরায়েলি | ছবি: এএফপি ফাইল ছবি

গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি ও স্থাপনা পরিকল্পিতভাবে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। শুধু সেনারা নয়, ইসরায়েলি বেসরকারি ঠিকাদাররাও এই ধ্বংসযজ্ঞে সরাসরি যুক্ত। দ্য মার্কার–এর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এই কাজের মাধ্যমে মাসে একজন যন্ত্রচালক আয় করছেন প্রায় ৯ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ লাখ টাকা।

প্রতিদিন একজন ভারী যন্ত্রচালক ১২০০ শেকেল এবং যন্ত্রের মালিক পাচ্ছেন ৫ হাজার শেকেল পর্যন্ত ভাড়া। বাড়িঘর ধ্বংসের মাত্রা অনুযায়ী এ আয় আরও বাড়ছে। ইসরায়েলি সেনারা দ্রুত ধ্বংসকাজ শেষ করতে এসব ঠিকাদারদের উৎসাহ দিচ্ছে।

গাজায় ত্রাণ নিতে আসা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদেরও গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। হারেৎজ–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঠিকাদারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনারা পাশে থেকে এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন। সেনারা ত্রাণপ্রত্যাশীদের ‘ঝুঁকি’ বলে গুলি চালাচ্ছেন।

চলতি সপ্তাহে খান ইউনিসে ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার সময় হামাসের যোদ্ধারা এক ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করলে আরও সংঘর্ষ হয়। ইসরায়েলি সংসদ সদস্যরা এসব যন্ত্রচালকদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে প্রশংসা করছেন।

ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনারা এবং ঠিকাদাররা থামবে না বলে হুমকি দিচ্ছে।

তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই, দ্য মার্কার।


Share

গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি ও স্থাপনা পরিকল্পিতভাবে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। শুধু সেনারা নয়, ইসরায়েলি বেসরকারি ঠিকাদাররাও এই ধ্বংসযজ্ঞে সরাসরি যুক্ত। দ্য মার্কার–এর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এই কাজের মাধ্যমে মাসে একজন যন্ত্রচালক আয় করছেন প্রায় ৯ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ লাখ টাকা।

প্রতিদিন একজন ভারী যন্ত্রচালক ১২০০ শেকেল এবং যন্ত্রের মালিক পাচ্ছেন ৫ হাজার শেকেল পর্যন্ত ভাড়া। বাড়িঘর ধ্বংসের মাত্রা অনুযায়ী এ আয় আরও বাড়ছে। ইসরায়েলি সেনারা দ্রুত ধ্বংসকাজ শেষ করতে এসব ঠিকাদারদের উৎসাহ দিচ্ছে।

গাজায় ত্রাণ নিতে আসা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদেরও গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। হারেৎজ–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঠিকাদারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনারা পাশে থেকে এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন। সেনারা ত্রাণপ্রত্যাশীদের ‘ঝুঁকি’ বলে গুলি চালাচ্ছেন।

চলতি সপ্তাহে খান ইউনিসে ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার সময় হামাসের যোদ্ধারা এক ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করলে আরও সংঘর্ষ হয়। ইসরায়েলি সংসদ সদস্যরা এসব যন্ত্রচালকদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে প্রশংসা করছেন।

ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনারা এবং ঠিকাদাররা থামবে না বলে হুমকি দিচ্ছে।

তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই, দ্য মার্কার।


Share