পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে ১১ টুকরো করলো স্বামী - Porikroma News
Connect with us

বাংলাদেশ

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে ১১ টুকরো করলো স্বামী

Published

on

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে ১১ টুকরো করলো স্বামী
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে পরকীয়ার সন্দেহ থেকে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ১১ টুকরো করেছেন সুমন নামে এক স্বামী। শুধু হত্যা করেই থেমে থাকেনি, লাশ গুমের চেষ্টাও চালায় সে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-৯।

শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে যৌথ অভিযানে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, গত ৯ জুলাই রাতে চট্টগ্রামের বাসায় অজ্ঞাতনামা যুবকদের নিয়ে আসা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে সুমন। একপর্যায়ে দুটি ধারালো চাকু দিয়ে স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে সে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ফাতেমা মারা যান। পরে লাশ ১১ টুকরো করে বাথরুমের কমোড দিয়ে ফ্লাশ করে গুমের চেষ্টা চালায়।

ঘটনার সময় ভবনের নিরাপত্তাকর্মী মশিউর রহমান দুর্গন্ধ ও শব্দ পেয়ে সন্দেহ করে বাসায় গিয়ে রক্তের দাগ দেখতে পান। বাইরে অন্যদের ডাকতে গেলে জানালার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যায় সুমন। পরে নিহতের ভাই বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হত্যা মামলা করেন।

র‌্যাব জানায়, ১০ বছর আগে বিয়ে হওয়া এই দম্পতির মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার পর থেকেই দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি হয়। অবশেষে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ঘটনার অবসান ঘটে।

গ্রেফতার সুমনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

Share

চট্টগ্রামে পরকীয়ার সন্দেহ থেকে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ১১ টুকরো করেছেন সুমন নামে এক স্বামী। শুধু হত্যা করেই থেমে থাকেনি, লাশ গুমের চেষ্টাও চালায় সে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-৯।

শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে যৌথ অভিযানে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, গত ৯ জুলাই রাতে চট্টগ্রামের বাসায় অজ্ঞাতনামা যুবকদের নিয়ে আসা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে সুমন। একপর্যায়ে দুটি ধারালো চাকু দিয়ে স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে সে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ফাতেমা মারা যান। পরে লাশ ১১ টুকরো করে বাথরুমের কমোড দিয়ে ফ্লাশ করে গুমের চেষ্টা চালায়।

ঘটনার সময় ভবনের নিরাপত্তাকর্মী মশিউর রহমান দুর্গন্ধ ও শব্দ পেয়ে সন্দেহ করে বাসায় গিয়ে রক্তের দাগ দেখতে পান। বাইরে অন্যদের ডাকতে গেলে জানালার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যায় সুমন। পরে নিহতের ভাই বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হত্যা মামলা করেন।

র‌্যাব জানায়, ১০ বছর আগে বিয়ে হওয়া এই দম্পতির মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার পর থেকেই দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি হয়। অবশেষে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ঘটনার অবসান ঘটে।

গ্রেফতার সুমনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

Share