তেলআবিবে বন্দিমুক্তি ও যুদ্ধবিরতির দাবিতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ - Porikroma News
Connect with us

আন্তর্জাতিক

তেলআবিবে বন্দিমুক্তি ও যুদ্ধবিরতির দাবিতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

Published

on

তেলআবিবে বন্দিমুক্তি ও যুদ্ধবিরতির দাবিতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
ছবি: আনাদোলু

দখলদার ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবে শনিবার হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। গাজা উপত্যকায় হামাসের হাতে আটক ইসরাইলিদের মুক্তি এবং পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির দাবিতে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

ইসরাইলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা একটি পূর্ণাঙ্গ ও পক্ষপাতহীন চুক্তির আহ্বান জানিয়েছে, যাতে গাজায় আটক সব বন্দি জীবিত বা মৃত মুক্তি পায়।

তেলআবিবের এই বিক্ষোভে বহু বন্দির পরিবারের সদস্যরাও অংশ নেন। তারা অস্থায়ী বা আংশিক চুক্তির বিরোধিতা করে স্লোগান দেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান।

এদিকে ইসরাইল সরকার ঘোষণা দিয়েছে, তারা কাতারের দোহায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে। সেখানে হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। কারণ, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে হামাস।

ইসরাইলি সরকারি সম্প্রচার সংস্থা কেএএন জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীরা দুই পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করে সমঝোতায় পৌঁছানোর বিষয়ে আশাবাদী।

হিব্রু পত্রিকা হারেৎজ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু রোববার সকালে ওয়াশিংটনে যাবেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

ইসরাইলি হিসাব অনুযায়ী, গাজায় বর্তমানে ৫০ জন বন্দি রয়েছে। এর মধ্যে ২০ জন জীবিত। অপরদিকে ইসরাইলি কারাগারে ১০ হাজার ৪০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছেন। যাদের মধ্যে অনেকেই নির্যাতন, অনাহার এবং চিকিৎসা অবহেলার শিকার।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইল গাজায় ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৪০০-র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অধিকাংশই নারী ও শিশু।

এছাড়া আইসিসি নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আর আইসিজেতে গণহত্যার মামলাও চলমান।

Share

দখলদার ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবে শনিবার হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। গাজা উপত্যকায় হামাসের হাতে আটক ইসরাইলিদের মুক্তি এবং পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির দাবিতে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

ইসরাইলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা একটি পূর্ণাঙ্গ ও পক্ষপাতহীন চুক্তির আহ্বান জানিয়েছে, যাতে গাজায় আটক সব বন্দি জীবিত বা মৃত মুক্তি পায়।

তেলআবিবের এই বিক্ষোভে বহু বন্দির পরিবারের সদস্যরাও অংশ নেন। তারা অস্থায়ী বা আংশিক চুক্তির বিরোধিতা করে স্লোগান দেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান।

এদিকে ইসরাইল সরকার ঘোষণা দিয়েছে, তারা কাতারের দোহায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে। সেখানে হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। কারণ, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে হামাস।

ইসরাইলি সরকারি সম্প্রচার সংস্থা কেএএন জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীরা দুই পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করে সমঝোতায় পৌঁছানোর বিষয়ে আশাবাদী।

হিব্রু পত্রিকা হারেৎজ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু রোববার সকালে ওয়াশিংটনে যাবেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

ইসরাইলি হিসাব অনুযায়ী, গাজায় বর্তমানে ৫০ জন বন্দি রয়েছে। এর মধ্যে ২০ জন জীবিত। অপরদিকে ইসরাইলি কারাগারে ১০ হাজার ৪০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছেন। যাদের মধ্যে অনেকেই নির্যাতন, অনাহার এবং চিকিৎসা অবহেলার শিকার।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইল গাজায় ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৪০০-র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অধিকাংশই নারী ও শিশু।

এছাড়া আইসিসি নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আর আইসিজেতে গণহত্যার মামলাও চলমান।

Share