বাংলাদেশ
এনসিপি কি ‘মব’ দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতে চায়?

পাঁচই অগাস্টের পর থেকে বেশ কিছু ‘মবের’ ঘটনায় নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে, এর সঙ্গে সবশেষ সংযোজন পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূরের প্রত্যাহারের ঘটনা।
প্রশ্ন উঠছে, একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপির নেতা-কর্মীরা মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মতো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন কি না? অনেকে আবার এমন অভিযোগও করছেন যে, দলটি ক্ষমতা প্রদর্শনের একটি মাধ্যম হিসেবে মব ব্যবহার করছে।
যদিও এ ধরনের ঘটনায় মবকে ‘বিক্ষুব্ধ জনতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির একাধিক নেতা। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘ সময় জনসাধারণকে যে দমন-পীড়ন করা হয়েছে, একে তার বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই দেখছেন তারা।
আবার দলটির কেউ কেউ বলছেন, দল হিসেবে গণতান্ত্রিক উপায়ে নিজেদের দাবি আদায়ের অধিকার এনসিপির আছে। তবে অনেকসময় মবের ঘটনায় অন্য রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা থাকলেও এনসিপির সাথে তাদের মিলিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, মব ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের ওপরে নিজের আধিপত্য তৈরি করা সহজ। ফলে অনেকেই একে অন্য রাজনৈতিক দলের ওপর এনসিপির চাপ প্রয়োগের একটি কৌশল হিসেবে দেখছেন।