৩৩৬ কোটি টাকার রেলপথে নেই ট্রেন চলাচল - Porikroma News
Connect with us

বাংলাদেশ

৩৩৬ কোটি টাকার রেলপথে নেই ট্রেন চলাচল

Published

on

৩৩৬ কোটি টাকার রেলপথ অব্যবহৃত

প্রায় ৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রূপপুর রেলস্টেশন ও ঈশ্বরদী-রূপপুর রেলপথ দিয়ে আড়াই বছরে মাত্র দু’একটি মালবাহী বগি আর মোটর ট্রলি চলেছে। উদ্বোধনের দেড় বছর পার হলেও এই রেলপথ দিয়ে এখনো এক ছটাক মালপত্র পরিবহন হয়নি।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০১৮ সালে শুরু হয়ে ২০২২ সালের জুনে কাজ শেষ হয়। ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটার রেলপথ এবং আধুনিক রূপপুর স্টেশন নির্মাণ করা হয় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের মালপত্র আনা-নেওয়ার জন্য।

কিন্তু এখনো প্রকল্পের মালপত্র নদীপথ ও সড়কপথেই পরিবহন করা হচ্ছে। স্টেশনটি ব্যবহার হচ্ছে ‘ওয়াগন ইয়ার্ড’ হিসেবে, আর রেলপথ ব্যবহার হচ্ছে স্থানীয়দের খড়-গোবর শুকানোর কাজে।

রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্টেশন থেকে রূপপুর প্রকল্পের মালবাহী ট্রেন চালানোর রাস্তাটি হার্ডিঞ্জ সেতুর নিচ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এখনো ট্রেন চালানো সম্ভব হয়নি।

পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা জানান, এই রেলপথ ব্যবহার করে শুধু মোটর ট্রলি চালানো হচ্ছে। আর স্টেশন ইয়ার্ডে নিরাপত্তা সংকটের কারণে কিছু নতুন কোচ রাখা হয়েছে।

বিভাগীয় প্রকৌশলী বলেছেন, ভবিষ্যতে রূপপুর প্রকল্পের প্রয়োজনে এই রেলপথ ব্যবহার হতে পারে। তবে আপাতত এই ৩৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।

এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উঠেছে সমালোচনা। সরকারি অর্থে নির্মিত এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প দীর্ঘদিন অকার্যকর থাকায় প্রশ্ন উঠছে প্রকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন নিয়ে।

Share

প্রায় ৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রূপপুর রেলস্টেশন ও ঈশ্বরদী-রূপপুর রেলপথ দিয়ে আড়াই বছরে মাত্র দু’একটি মালবাহী বগি আর মোটর ট্রলি চলেছে। উদ্বোধনের দেড় বছর পার হলেও এই রেলপথ দিয়ে এখনো এক ছটাক মালপত্র পরিবহন হয়নি।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০১৮ সালে শুরু হয়ে ২০২২ সালের জুনে কাজ শেষ হয়। ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটার রেলপথ এবং আধুনিক রূপপুর স্টেশন নির্মাণ করা হয় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের মালপত্র আনা-নেওয়ার জন্য।

কিন্তু এখনো প্রকল্পের মালপত্র নদীপথ ও সড়কপথেই পরিবহন করা হচ্ছে। স্টেশনটি ব্যবহার হচ্ছে ‘ওয়াগন ইয়ার্ড’ হিসেবে, আর রেলপথ ব্যবহার হচ্ছে স্থানীয়দের খড়-গোবর শুকানোর কাজে।

রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্টেশন থেকে রূপপুর প্রকল্পের মালবাহী ট্রেন চালানোর রাস্তাটি হার্ডিঞ্জ সেতুর নিচ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এখনো ট্রেন চালানো সম্ভব হয়নি।

পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা জানান, এই রেলপথ ব্যবহার করে শুধু মোটর ট্রলি চালানো হচ্ছে। আর স্টেশন ইয়ার্ডে নিরাপত্তা সংকটের কারণে কিছু নতুন কোচ রাখা হয়েছে।

বিভাগীয় প্রকৌশলী বলেছেন, ভবিষ্যতে রূপপুর প্রকল্পের প্রয়োজনে এই রেলপথ ব্যবহার হতে পারে। তবে আপাতত এই ৩৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।

এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উঠেছে সমালোচনা। সরকারি অর্থে নির্মিত এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প দীর্ঘদিন অকার্যকর থাকায় প্রশ্ন উঠছে প্রকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন নিয়ে।

Share