Connect with us

অপরাধ

বরগুনায় ঠিকাদারের অফিসে হামলা, শ্রমিকদের মারধরে আহত ৭

Published

on

ঠিকাদারের অফিসে হামলার সময় অভিযুক্ত হামলাকারীরা

বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলী উপজেলার সেনেরহাট গ্রামে ঠিকাদারের সাব-অফিসে হামলা ও নির্মাণ শ্রমিকদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাতজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (২১ মে) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে সেনেরহাট এলাকায় দুটি স্লুইজগেট নির্মাণের কাজ চলছে। দুপুরে ইটবাহী ট্রাক্টর থেকে কিছু ইট রাস্তায় পড়ে গেলে স্থানীয় ফোরকান গাজী বিষয়টি নিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের গালিগালাজ করেন। বিষয়টির প্রতিবাদ করলে ঠিকাদারের সাব-অফিসে অতর্কিত হামলা চালান ফোরকান গাজী ও তার সহযোগীরা।

হামলায় অংশ নেন ফোরকান গাজী, আজিজুল, মুছা সিকদার, জাকারিয়া, আতিক গাজী, সম্রাট, সাগরসহ ১০-১২ জন। তারা রড ও লাঠি দিয়ে শ্রমিকদের মারধর করেন এবং অফিসে ভাঙচুর চালান।

আহতরা হলেন– মাসুদ, আনোয়ার, হাবিব খলিফা, শিপন প্যাদা, রাহাত সরদার, ছালাম প্যাদা ও হানিফা। মাসুদ, হাবিব খলিফা ও ছালাম প্যাদাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

সাব ঠিকাদার আবদুল হক বলেন, “ট্রাক্টর ইট ফেলেছিল। কিছু ইট রাস্তায় পড়ে যায়। এতে ফোরকান গাজী গালাগাল করলে আমি প্রতিবাদ করি। এরপর সন্ধ্যায় তারা হামলা চালায়। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।”

অভিযোগ অস্বীকার করে ফোরকান গাজী বলেন, “শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে। মারধর বা হামলার অভিযোগ সত্য নয়।”

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান জানান, “স্থানীয় লোকজন হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, “এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Share

বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলী উপজেলার সেনেরহাট গ্রামে ঠিকাদারের সাব-অফিসে হামলা ও নির্মাণ শ্রমিকদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাতজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (২১ মে) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে সেনেরহাট এলাকায় দুটি স্লুইজগেট নির্মাণের কাজ চলছে। দুপুরে ইটবাহী ট্রাক্টর থেকে কিছু ইট রাস্তায় পড়ে গেলে স্থানীয় ফোরকান গাজী বিষয়টি নিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের গালিগালাজ করেন। বিষয়টির প্রতিবাদ করলে ঠিকাদারের সাব-অফিসে অতর্কিত হামলা চালান ফোরকান গাজী ও তার সহযোগীরা।

হামলায় অংশ নেন ফোরকান গাজী, আজিজুল, মুছা সিকদার, জাকারিয়া, আতিক গাজী, সম্রাট, সাগরসহ ১০-১২ জন। তারা রড ও লাঠি দিয়ে শ্রমিকদের মারধর করেন এবং অফিসে ভাঙচুর চালান।

আহতরা হলেন– মাসুদ, আনোয়ার, হাবিব খলিফা, শিপন প্যাদা, রাহাত সরদার, ছালাম প্যাদা ও হানিফা। মাসুদ, হাবিব খলিফা ও ছালাম প্যাদাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

সাব ঠিকাদার আবদুল হক বলেন, “ট্রাক্টর ইট ফেলেছিল। কিছু ইট রাস্তায় পড়ে যায়। এতে ফোরকান গাজী গালাগাল করলে আমি প্রতিবাদ করি। এরপর সন্ধ্যায় তারা হামলা চালায়। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।”

অভিযোগ অস্বীকার করে ফোরকান গাজী বলেন, “শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে। মারধর বা হামলার অভিযোগ সত্য নয়।”

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান জানান, “স্থানীয় লোকজন হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, “এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Share