Connect with us

অপরাধ

হিলিতে মা-মেয়েকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, তদন্তে পুলিশ

Published

on

দিনাজপুরের হাকিমপুরে মা-মেয়েকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের দৃশ্য

দিনাজপুর, ২১ মে ২০২৫:
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলির নয়ানগর গ্রামে সাইকেল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে এক স্কুলছাত্রী ও তার মাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৯ মে সকালে এ নির্মম ঘটনা ঘটে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৭ মে ফারুক হোসেনের বাড়ি থেকে একটি সাইকেল চুরি হয়। পরদিন সেটি প্রতিবেশী সিদ্দিক হোসেনের বাড়িতে পাওয়া গেলে গ্রামবাসীরা বিষয়টি আপোষে মীমাংসা করেন। তবে ১৮ মে ফারুকের স্ত্রী এলিনা বেগম ও সিদ্দিকের স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সিদ্দিক allegedly এলিনার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান। গুরুতর আহত এলিনাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এর প্রতিশোধ নিতে ১৯ মে সকালে ফারুক তার শ্যালকসহ কয়েকজনকে নিয়ে সিদ্দিকের স্ত্রী ও নবম শ্রেণির মেয়েকে টেনে-হিঁচড়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে রাখে এবং নির্যাতন চালায়। কিছু সময় পর স্থানীয়রা মা-মেয়েকে উদ্ধার করেন।

সিদ্দিকের মা জরিনা বেগম বলেন, “সাইকেল চুরির বিচার হোক, কিন্তু তার জন্য নিরপরাধ নারী ও শিশুকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন অমানবিক। আমি এর বিচার চাই।”

প্রতিবেশী নাজমা বলেন, “সিদ্দিকের অপরাধ থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হোক, কিন্তু তার স্ত্রী ও মেয়ের ওপর এমন বর্বরতা মেনে নেওয়া যায় না।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত ফারুকের স্ত্রী এলিনা বলেন, “আমাকে মারধরের পর আমার ভাইরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওদের কিছুক্ষণ খুঁটিতে বেঁধেছিল, পরে লোকজন এসে ছেড়ে দেয়।”

স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান ছদরুল শামীম স্বপন বলেন, “ঘটনা যাই হোক, আইন হাতে তুলে নেওয়ার কোনো অধিকার কারও নেই।”

হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক বলেন, “উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share

দিনাজপুর, ২১ মে ২০২৫:
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলির নয়ানগর গ্রামে সাইকেল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে এক স্কুলছাত্রী ও তার মাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৯ মে সকালে এ নির্মম ঘটনা ঘটে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৭ মে ফারুক হোসেনের বাড়ি থেকে একটি সাইকেল চুরি হয়। পরদিন সেটি প্রতিবেশী সিদ্দিক হোসেনের বাড়িতে পাওয়া গেলে গ্রামবাসীরা বিষয়টি আপোষে মীমাংসা করেন। তবে ১৮ মে ফারুকের স্ত্রী এলিনা বেগম ও সিদ্দিকের স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সিদ্দিক allegedly এলিনার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান। গুরুতর আহত এলিনাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এর প্রতিশোধ নিতে ১৯ মে সকালে ফারুক তার শ্যালকসহ কয়েকজনকে নিয়ে সিদ্দিকের স্ত্রী ও নবম শ্রেণির মেয়েকে টেনে-হিঁচড়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে রাখে এবং নির্যাতন চালায়। কিছু সময় পর স্থানীয়রা মা-মেয়েকে উদ্ধার করেন।

সিদ্দিকের মা জরিনা বেগম বলেন, “সাইকেল চুরির বিচার হোক, কিন্তু তার জন্য নিরপরাধ নারী ও শিশুকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন অমানবিক। আমি এর বিচার চাই।”

প্রতিবেশী নাজমা বলেন, “সিদ্দিকের অপরাধ থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হোক, কিন্তু তার স্ত্রী ও মেয়ের ওপর এমন বর্বরতা মেনে নেওয়া যায় না।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত ফারুকের স্ত্রী এলিনা বলেন, “আমাকে মারধরের পর আমার ভাইরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওদের কিছুক্ষণ খুঁটিতে বেঁধেছিল, পরে লোকজন এসে ছেড়ে দেয়।”

স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান ছদরুল শামীম স্বপন বলেন, “ঘটনা যাই হোক, আইন হাতে তুলে নেওয়ার কোনো অধিকার কারও নেই।”

হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক বলেন, “উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share