রাজধানীর রাজপথে আন্দোলনের দখল, যানজটে নাকাল নগরবাসী - Porikroma News
Connect with us

বাংলাদেশ

রাজধানীর রাজপথে আন্দোলনের দখল, যানজটে নাকাল নগরবাসী

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর রাজপথ যেন দখল-আন্দোলনের শহর। প্রতিদিনই কোনো না কোনো দল, সংগঠন বা শ্রমিক সংগঠনের দাবিতে রাজপথ অবরোধ হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। যানজটে নাকাল হচ্ছে অফিসগামী, স্কুলপড়ুয়া, রোগী, নারী ও শিশু। বিশেষ করে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে একের পর এক আন্দোলনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে টানা বৃষ্টি ভোগান্তির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়।

এক নজরে গতকালের আন্দোলন:

🔶 গুলিস্তান-বঙ্গবাজার অবরোধ:
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ আয়োজনের দাবিতে টানা ছয়দিন নগরভবন অবরোধ চলছে। গতকালও অনুসারীরা সকাল ১০টায় গুলিস্তান থেকে বঙ্গবাজার পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করেন। এতে গুলিস্তান, কাকরাইল, পুরান ঢাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

🔶 শাহবাগ অবরোধ:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ হয়। এতে শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব, নীলক্ষেত, বাংলামোটর, মৎস্য ভবনসহ আশপাশের এলাকায় দীর্ঘ যানজট হয়।

🔶 পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ:
টিএনজেড গ্রুপের ১৪ মাসের বেতন বকেয়ার দাবিতে কয়েকশ পোশাকশ্রমিক দুপুর ৩টার দিকে কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। পুলিশ আটকে দিলে শ্রমিকরা রাস্তায় বসে পড়েন। বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোও আন্দোলনে সংহতি জানায়। এতে সেগুনবাগিচা, নয়াপল্টন, মগবাজার, মালিবাগ এলাকায় যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

🔶 গুলশান অবরোধ:
ডিএনসিসি প্রশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে গণঅধিকার পরিষদ গুলশান নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে। এতে গুলশান-২, বনানী, বারিধারা এলাকায় তীব্র যানজট হয়।

নগরবাসীর ক্ষোভ:

যানজটে আটকে থাকা আরিফ হোসেন বলেন, “একটা প্রয়োজনে কুড়িল যেতে গিয়ে গুলিস্তানে এক ঘণ্টা লেগে যায়। পরে বাধ্য হয়ে বাসায় ফিরে এসেছি। এভাবে তো কোনো শহর চলতে পারে না। প্রতিদিন আন্দোলন।”

অফিসফেরত মুক্তার হোসেন বলেন, “মতিঝিল থেকে মহাখালী যেতে দুই ঘণ্টা লেগেছে। প্রতিদিনের এই দুর্ভোগ আর সহ্য হয় না।”

পুলিশের বিবৃতি:

ডিএমপি ট্রাফিক রমনা জোনের এসি আব্দুল হান্নান খান বলেন, “বিভিন্ন আন্দোলনের কারণে যান চলাচলে ভয়াবহ সমস্যা হচ্ছে। নানা কৌশলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি।”

Share

স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর রাজপথ যেন দখল-আন্দোলনের শহর। প্রতিদিনই কোনো না কোনো দল, সংগঠন বা শ্রমিক সংগঠনের দাবিতে রাজপথ অবরোধ হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। যানজটে নাকাল হচ্ছে অফিসগামী, স্কুলপড়ুয়া, রোগী, নারী ও শিশু। বিশেষ করে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে একের পর এক আন্দোলনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে টানা বৃষ্টি ভোগান্তির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়।

এক নজরে গতকালের আন্দোলন:

🔶 গুলিস্তান-বঙ্গবাজার অবরোধ:
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ আয়োজনের দাবিতে টানা ছয়দিন নগরভবন অবরোধ চলছে। গতকালও অনুসারীরা সকাল ১০টায় গুলিস্তান থেকে বঙ্গবাজার পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করেন। এতে গুলিস্তান, কাকরাইল, পুরান ঢাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

🔶 শাহবাগ অবরোধ:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ হয়। এতে শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব, নীলক্ষেত, বাংলামোটর, মৎস্য ভবনসহ আশপাশের এলাকায় দীর্ঘ যানজট হয়।

🔶 পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ:
টিএনজেড গ্রুপের ১৪ মাসের বেতন বকেয়ার দাবিতে কয়েকশ পোশাকশ্রমিক দুপুর ৩টার দিকে কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। পুলিশ আটকে দিলে শ্রমিকরা রাস্তায় বসে পড়েন। বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোও আন্দোলনে সংহতি জানায়। এতে সেগুনবাগিচা, নয়াপল্টন, মগবাজার, মালিবাগ এলাকায় যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

🔶 গুলশান অবরোধ:
ডিএনসিসি প্রশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে গণঅধিকার পরিষদ গুলশান নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে। এতে গুলশান-২, বনানী, বারিধারা এলাকায় তীব্র যানজট হয়।

নগরবাসীর ক্ষোভ:

যানজটে আটকে থাকা আরিফ হোসেন বলেন, “একটা প্রয়োজনে কুড়িল যেতে গিয়ে গুলিস্তানে এক ঘণ্টা লেগে যায়। পরে বাধ্য হয়ে বাসায় ফিরে এসেছি। এভাবে তো কোনো শহর চলতে পারে না। প্রতিদিন আন্দোলন।”

অফিসফেরত মুক্তার হোসেন বলেন, “মতিঝিল থেকে মহাখালী যেতে দুই ঘণ্টা লেগেছে। প্রতিদিনের এই দুর্ভোগ আর সহ্য হয় না।”

পুলিশের বিবৃতি:

ডিএমপি ট্রাফিক রমনা জোনের এসি আব্দুল হান্নান খান বলেন, “বিভিন্ন আন্দোলনের কারণে যান চলাচলে ভয়াবহ সমস্যা হচ্ছে। নানা কৌশলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি।”

Share