Connect with us

অপরাধ

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগে শিক্ষক আটক

Published

on

নিহত সানিম হোসাইন। ছবি : সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় অবস্থিত আল-মুঈন ইসলামী একাডেমি থেকে হেফজ বিভাগের ছাত্র সানিম হোসাইনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মাদ্রাসার একটি টয়লেট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সানিম রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের কুচিয়ামারা গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী হুমায়ুন মাতব্বরের ছেলে। পরিবারের দাবি, শিক্ষক মাহমুদুর রহমানের মারধরের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলছে, সানিম আত্মহত্যা করেছে এবং ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

মাদ্রাসা কক্ষের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, গামছা হাতে টয়লেটে ঢুকছে সানিম, তবে বের হওয়ার কোনো দৃশ্য ধরা পড়েনি। তৃতীয় তলার টয়লেট থেকে মরদেহ নিচতলায় আনা হয়েছে বললেও কর্তৃপক্ষ সেই দৃশ্যের ভিডিও দেখাতে পারেনি।

এদিকে ছেলের মৃত্যু মেনে নিতে না পেরে শোকে মাদ্রাসার মেঝেতে কান্নায় বারবার মূর্ছা যান সানিমের মা-বাবা। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল হক ও সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ। তারা মাদ্রাসা শিক্ষক ও নিহত শিক্ষার্থীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

Share

লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় অবস্থিত আল-মুঈন ইসলামী একাডেমি থেকে হেফজ বিভাগের ছাত্র সানিম হোসাইনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মাদ্রাসার একটি টয়লেট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সানিম রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের কুচিয়ামারা গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী হুমায়ুন মাতব্বরের ছেলে। পরিবারের দাবি, শিক্ষক মাহমুদুর রহমানের মারধরের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলছে, সানিম আত্মহত্যা করেছে এবং ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

মাদ্রাসা কক্ষের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, গামছা হাতে টয়লেটে ঢুকছে সানিম, তবে বের হওয়ার কোনো দৃশ্য ধরা পড়েনি। তৃতীয় তলার টয়লেট থেকে মরদেহ নিচতলায় আনা হয়েছে বললেও কর্তৃপক্ষ সেই দৃশ্যের ভিডিও দেখাতে পারেনি।

এদিকে ছেলের মৃত্যু মেনে নিতে না পেরে শোকে মাদ্রাসার মেঝেতে কান্নায় বারবার মূর্ছা যান সানিমের মা-বাবা। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল হক ও সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ। তারা মাদ্রাসা শিক্ষক ও নিহত শিক্ষার্থীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

Share