Connect with us

আন্তর্জাতিক

গাজায় দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ঝুঁকি, মানবিক সহায়তা অবরোধে ইসরাইল

Published

on

ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় প্রায় ২১ লাখ ফিলিস্তিনি মানুষের জীবন দুর্ভিক্ষের ‘গুরুতর ঝুঁকিতে’ রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ-সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি)। খবর বিবিসি বাংলার।

দখলদার ইসরাইলের টানা অবরোধ ও মানবিক সহায়তা ঢুকতে না দেওয়ার কারণে গাজার বাসিন্দারা ভয়াবহ খাদ্য সংকটে পড়েছেন বলে জানায় আইপিসি।

সোমবার প্রকাশিত আইপিসির সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে গাজার খাদ্য পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি শুরু হয়েছে। বর্তমানে গাজায় প্রায় ১.৯৫ মিলিয়ন মানুষ, অর্থাৎ ৯৩ শতাংশ জনগণ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এরমধ্যে দুই লাখ ৪৪ হাজার মানুষ চরম দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে। আর চলতি বছরের মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৭১ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগতে পারে।

এদিকে ইসরাইলি বাহিনী গত মার্চ থেকে আবারও গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। দুই মাস ধরে তারা খাদ্য, ওষুধসহ ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।
ইসরাইলের দাবি, হামাসের হাতে আটক নাগরিকদের মুক্তি দিতে চাপ দিতেই এ অবরোধ।

তবে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরাইলের এই পদক্ষেপকে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধ বলে অভিহিত করেছে।

গাজায় খাবারের জন্য এখন অনেক পরিবার ভিক্ষাবৃত্তি ও আবর্জনা কুড়িয়ে দিন পার করছে। কিছু মানবিক সংস্থা বলছে, ইসরাইল ত্রাণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

এদিকে গাজায় হামাসের হাতে বন্দি থাকা ৫৮০ দিনের বেশি সময় জিম্মি থাকা এক মার্কিন-ইসরাইলি নাগরিক সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন।
তাকে আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রসের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়।

জাতিসংঘ জানায়, তারা সীমান্তে প্রস্তুত থাকা মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে সফরে গেলে, কোনো সমঝোতা না হলে ইসরাইল সামরিক অভিযান বাড়ানোর হুমকি দিয়েছে।

গত দেড় বছরে গাজায় ইসরাইলের অভিযানে অন্তত ৫২ হাজার ৮৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

Share

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় প্রায় ২১ লাখ ফিলিস্তিনি মানুষের জীবন দুর্ভিক্ষের ‘গুরুতর ঝুঁকিতে’ রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ-সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি)। খবর বিবিসি বাংলার।

দখলদার ইসরাইলের টানা অবরোধ ও মানবিক সহায়তা ঢুকতে না দেওয়ার কারণে গাজার বাসিন্দারা ভয়াবহ খাদ্য সংকটে পড়েছেন বলে জানায় আইপিসি।

সোমবার প্রকাশিত আইপিসির সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে গাজার খাদ্য পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি শুরু হয়েছে। বর্তমানে গাজায় প্রায় ১.৯৫ মিলিয়ন মানুষ, অর্থাৎ ৯৩ শতাংশ জনগণ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এরমধ্যে দুই লাখ ৪৪ হাজার মানুষ চরম দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে। আর চলতি বছরের মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৭১ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগতে পারে।

এদিকে ইসরাইলি বাহিনী গত মার্চ থেকে আবারও গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। দুই মাস ধরে তারা খাদ্য, ওষুধসহ ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।
ইসরাইলের দাবি, হামাসের হাতে আটক নাগরিকদের মুক্তি দিতে চাপ দিতেই এ অবরোধ।

তবে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরাইলের এই পদক্ষেপকে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধ বলে অভিহিত করেছে।

গাজায় খাবারের জন্য এখন অনেক পরিবার ভিক্ষাবৃত্তি ও আবর্জনা কুড়িয়ে দিন পার করছে। কিছু মানবিক সংস্থা বলছে, ইসরাইল ত্রাণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

এদিকে গাজায় হামাসের হাতে বন্দি থাকা ৫৮০ দিনের বেশি সময় জিম্মি থাকা এক মার্কিন-ইসরাইলি নাগরিক সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন।
তাকে আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রসের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়।

জাতিসংঘ জানায়, তারা সীমান্তে প্রস্তুত থাকা মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে সফরে গেলে, কোনো সমঝোতা না হলে ইসরাইল সামরিক অভিযান বাড়ানোর হুমকি দিয়েছে।

গত দেড় বছরে গাজায় ইসরাইলের অভিযানে অন্তত ৫২ হাজার ৮৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

Share