চাঁদপুরে, এক বছরে ডিভোর্স ৭ হাজার ৮৯১টি - Porikroma News
Connect with us

বাংলাদেশ

চাঁদপুরে, এক বছরে ডিভোর্স ৭ হাজার ৮৯১টি

Published

on

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁদপুরে ভয়াবহ হারে বাড়ছে বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা। জেলার ৮টি উপজেলায় গত এক বছরে ১৪ হাজার ৪৬৫টি বিয়ে নিবন্ধনের বিপরীতে বিচ্ছেদ হয়েছে ৭ হাজার ৮৯১টি। গড়ে প্রতিদিন ২১টি সংসার ভেঙে যাচ্ছে।

বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে পারস্পরিক দূরত্ব, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব এবং নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা। বিশেষ করে প্রবাসী অধ্যুষিত পরিবারগুলোর মধ্যে এই সমস্যা প্রকট।

চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় বিচ্ছেদের হার তুলনামূলক বেশি। স্থানীয় থানা ও আদালত সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে থানাগুলোতে সহস্রাধিক নিখোঁজ ডায়েরি রয়েছে। যার বেশিরভাগই পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও পরকীয়াজনিত।

নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত মামলার সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো। গত এক বছরে ২৭৫৪টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৮৮টি নিষ্পত্তি হয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তালাকের মাধ্যমে।

চাঁদপুর কাজী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী সুফিয়ান দেওয়ান বলেন, “বাল্যবিবাহ এবং অনিয়ন্ত্রিত বিয়ে বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই সংকট আরও বাড়বে।”

জেলা পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, “পরকীয়া ও বিচ্ছেদ ঠেকাতে পারিবারিক বন্ধন ও সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।”

স্থানীয়রা জানান, স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, ভার্চুয়াল সম্পর্ক এবং একাকীত্বই এখন পারিবারিক ভাঙনের মূল কারণ। দ্রুত সামাজিক সচেতনতা এবং পরিবারভিত্তিক মানসিক সহযোগিতা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন অনেকে।

এ বিষয়ে আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন দৈনিক পরিক্রমা NEWS-এ।

Share

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁদপুরে ভয়াবহ হারে বাড়ছে বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা। জেলার ৮টি উপজেলায় গত এক বছরে ১৪ হাজার ৪৬৫টি বিয়ে নিবন্ধনের বিপরীতে বিচ্ছেদ হয়েছে ৭ হাজার ৮৯১টি। গড়ে প্রতিদিন ২১টি সংসার ভেঙে যাচ্ছে।

বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে পারস্পরিক দূরত্ব, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব এবং নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা। বিশেষ করে প্রবাসী অধ্যুষিত পরিবারগুলোর মধ্যে এই সমস্যা প্রকট।

চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় বিচ্ছেদের হার তুলনামূলক বেশি। স্থানীয় থানা ও আদালত সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে থানাগুলোতে সহস্রাধিক নিখোঁজ ডায়েরি রয়েছে। যার বেশিরভাগই পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও পরকীয়াজনিত।

নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত মামলার সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো। গত এক বছরে ২৭৫৪টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৮৮টি নিষ্পত্তি হয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তালাকের মাধ্যমে।

চাঁদপুর কাজী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী সুফিয়ান দেওয়ান বলেন, “বাল্যবিবাহ এবং অনিয়ন্ত্রিত বিয়ে বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই সংকট আরও বাড়বে।”

জেলা পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, “পরকীয়া ও বিচ্ছেদ ঠেকাতে পারিবারিক বন্ধন ও সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।”

স্থানীয়রা জানান, স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, ভার্চুয়াল সম্পর্ক এবং একাকীত্বই এখন পারিবারিক ভাঙনের মূল কারণ। দ্রুত সামাজিক সচেতনতা এবং পরিবারভিত্তিক মানসিক সহযোগিতা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন অনেকে।

এ বিষয়ে আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন দৈনিক পরিক্রমা NEWS-এ।

Share