Connect with us

অপরাধ

এনসিপি ও এবি পার্টির ২ নেতাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Published

on

(এবি পার্টি) স্থানীয় নেতা জাহাঙ্গীর কাশেম (বাঁয়ে) ও (এনসিপি) নেতা রাইয়ান কাশেম। তারা সম্পর্কে বাবা-ছেলে। সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা রাইয়ান কাশেম ও আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) স্থানীয় নেতা জাহাঙ্গীর কাশেমকে আসামি করে অজ্ঞাতপরিচয় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাতে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এ মামলা করেন।

অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর কাশেম ও রাইয়ান কাশেম সম্পর্কে বাবা-ছেলে। রাইয়ান এনসিপি নেতা ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক ছিলেন।

তার বাবা জাহাঙ্গীর কাশেম ছাত্রশিবিরের একজন সাবেক নেতা ও বর্তমানে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন কক্সবাজার শহরের মাঝের ঘাট এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আনোয়ার (৫০), টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের আলীর ডেইল এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হোছাইন ওরফে হোছেন (২৮) এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার দক্ষিণ পুঁইছড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান (১৯)।

জানা যায়, গত রবিবার (৪ মে) রাতে উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের ‘আল্লাহওয়ালা’ নামে একটি মৎস্য হ্যাচারিতে আলী আকবর (৫০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত আলী আকবর একই ইউনিয়নের কুলিয়া পাড়ার বাসিন্দা।

নিহতের পরিবারের দাবি, মাছ চুরির অপবাদে আলী আকবরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মূলত জমি বিরোধের জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, হ্যাচারির মালিক জাহাঙ্গীর কাশেম, ছেলে রাইয়ান কাশেম ও জাহাঙ্গীর কাশেমের ছোট ভাই তানভীর কাশেমসহ হ্যাচারির কর্মচারীরা আলী আকবরকে পিটিয়ে হত্যা করে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান জানান, অভিযুক্ত রাইয়ান কাশেম, মোহাম্মদ হোছাইন ও মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার শহরে এনসিপি নেতা রাইয়ান কাশেমকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বিক্ষুব্ধ এনসিপিসহ ছাত্র-জনতা।

Share

কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা রাইয়ান কাশেম ও আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) স্থানীয় নেতা জাহাঙ্গীর কাশেমকে আসামি করে অজ্ঞাতপরিচয় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাতে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এ মামলা করেন।

অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর কাশেম ও রাইয়ান কাশেম সম্পর্কে বাবা-ছেলে। রাইয়ান এনসিপি নেতা ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক ছিলেন।

তার বাবা জাহাঙ্গীর কাশেম ছাত্রশিবিরের একজন সাবেক নেতা ও বর্তমানে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন কক্সবাজার শহরের মাঝের ঘাট এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আনোয়ার (৫০), টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের আলীর ডেইল এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হোছাইন ওরফে হোছেন (২৮) এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার দক্ষিণ পুঁইছড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান (১৯)।

জানা যায়, গত রবিবার (৪ মে) রাতে উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের ‘আল্লাহওয়ালা’ নামে একটি মৎস্য হ্যাচারিতে আলী আকবর (৫০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত আলী আকবর একই ইউনিয়নের কুলিয়া পাড়ার বাসিন্দা।

নিহতের পরিবারের দাবি, মাছ চুরির অপবাদে আলী আকবরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মূলত জমি বিরোধের জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, হ্যাচারির মালিক জাহাঙ্গীর কাশেম, ছেলে রাইয়ান কাশেম ও জাহাঙ্গীর কাশেমের ছোট ভাই তানভীর কাশেমসহ হ্যাচারির কর্মচারীরা আলী আকবরকে পিটিয়ে হত্যা করে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান জানান, অভিযুক্ত রাইয়ান কাশেম, মোহাম্মদ হোছাইন ও মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার শহরে এনসিপি নেতা রাইয়ান কাশেমকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বিক্ষুব্ধ এনসিপিসহ ছাত্র-জনতা।

Share