Connect with us

বাংলাদেশ

গাড়ি থামিয়ে ইজারাদারদের টানাটানি, বিপাকে পশু বিক্রেতারা

Published

on

সংগৃহীত ছবি

রাজশাহীর সিটি হাটের ইজারা ৩ কোটি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি টাকা। সঙ্গে বেড়েছে অন্য হাটের ইজারাও। বিনিয়োগের সেই টাকা তুলতে ইজারাদারদের টানাটানিতে বিপাকে পশু বিক্রেতারা। সপ্তাহের একইদিনে দামকুড়া ও সিটিহাট বসায় নিজেদের হাটে বিক্রেতা টানতে সড়কে অবস্থান নিচ্ছেন দুই পক্ষের ইজারাদারের লোকজন। এতে জটলাসহ তৈরি হচ্ছে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। ঈদুল আজহার আগে এমন পরিস্থিতিতে শঙ্কিত খামারি, ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।
ব্যাপারীদের অভিযোগ, গত রোববার (৪ মে) গোদাগাড়ী ও কাঁকনহাট থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত এবং পবা-দারুসা সড়কে অন্তত পনেরটি স্থানে দামকুড়া ও সিটি পশুহাটের ইজারাদারের লোকজন অবস্থান নেন। হাট দুটির একটি থেকে আরেকটির দূরত্ব ৬-৭ কিলোমিটার। গরু-মহিষবাহী গাড়িগুলোকে ইজারাদারের লোকজন নিজ নিজ পশুর হাটে নিতে বাধ্য করেন। এতে সড়কে তৈরি হয় জটলা ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ব্যাপারী কামাল বলেন, পছন্দের পশুর হাটে যেতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। চিন্তায় আছি। এভাবে চললে ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়বে।

এলাকাবাসী বলছেন, গত তিন দশক আগে রাজশাহীর গোদাগাড়ির মহিষালবাড়ী ও পবার দামকুড়া ছিল জমজমাট পশুরহাট। ২০০১ সালে রাজশাহী নগরীতে চালু হয় সিটিহাট। তিনটি হাটই বসে রোববার ও বুধবার। সপ্তাহের একই দিনে হাট হওয়ায় আওয়ামী লীগের শাসনামলে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট নামমাত্র মূল্যে ইজারা নিয়ে মহিষালবাড়ী ও দামকুড়ায় গরু-মহিষ তোলা বন্ধ করে দেয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দামকুড়া হাট মোহাম্মদ শাহ জাহান আলী এবং মহিশালবাড়ি ও সিটি হাটের ইজারা পেয়েছেন শওকত আলীসহ কয়েকজন। ভিন্ন ব্যক্তিরা ইজারা নেয়ায় দুই পক্ষই নিজেদের হাটে পশু টানতে মরিয়া।

এরই মধ্যে দুইপক্ষের ইজারাদাররা একে অপরের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাছে রাস্তা থেকে পশুবাহী গাড়ি জোর করে হাটে নেয়ার অভিযোগ করেছেন। রাজশাহী দামকুড়া হাটের ইজারাদার মোহাম্মদ শাহজাহান আলী বলেন, সিটি হাটের লোকজন জোর করে পশুবাহী গাড়ি তাদের হাটে নিয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে গত ২৯ এপ্রিল বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি, যার অনুলিপি জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও পাঠানো হয়েছে। তারপরও বিষয়টির সুরাহা হয়নি।

রাজশাহী সিটি হাটের ইজারাদার শওকত আলী বলেন, দামকুড়া হাটের লোকজনই রাস্তা থেকে গরু নিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ও মিডিয়া মুখপাত্র মোহাম্মদ রকিবুল হাসান ইবনে রহমান বলেন, পছন্দমতো হাটে পশু নেয়ার ব্যবস্থা, দুই পক্ষের বাড়াবাড়ি নিয়ন্ত্রণ ও কোরবানি হাটের নিরাপত্তায় পুলিশ কাজ করছে। দ্রুতই বিষয়গুলো সুরাহা হবে।

উল্লেখ্য, এক বছরের জন্য ইজারা মূল্য, ভ্যাট ও আয়কর মিলে মহিষালবাড়ি ৫৬ লাখ, দামকুড়া দেড় কোটি, সিটি হাট ১৭ কোটি টাকায় নিয়েছেন ইজারাদাররা।

Share

রাজশাহীর সিটি হাটের ইজারা ৩ কোটি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি টাকা। সঙ্গে বেড়েছে অন্য হাটের ইজারাও। বিনিয়োগের সেই টাকা তুলতে ইজারাদারদের টানাটানিতে বিপাকে পশু বিক্রেতারা। সপ্তাহের একইদিনে দামকুড়া ও সিটিহাট বসায় নিজেদের হাটে বিক্রেতা টানতে সড়কে অবস্থান নিচ্ছেন দুই পক্ষের ইজারাদারের লোকজন। এতে জটলাসহ তৈরি হচ্ছে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। ঈদুল আজহার আগে এমন পরিস্থিতিতে শঙ্কিত খামারি, ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।
ব্যাপারীদের অভিযোগ, গত রোববার (৪ মে) গোদাগাড়ী ও কাঁকনহাট থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত এবং পবা-দারুসা সড়কে অন্তত পনেরটি স্থানে দামকুড়া ও সিটি পশুহাটের ইজারাদারের লোকজন অবস্থান নেন। হাট দুটির একটি থেকে আরেকটির দূরত্ব ৬-৭ কিলোমিটার। গরু-মহিষবাহী গাড়িগুলোকে ইজারাদারের লোকজন নিজ নিজ পশুর হাটে নিতে বাধ্য করেন। এতে সড়কে তৈরি হয় জটলা ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ব্যাপারী কামাল বলেন, পছন্দের পশুর হাটে যেতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। চিন্তায় আছি। এভাবে চললে ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়বে।

এলাকাবাসী বলছেন, গত তিন দশক আগে রাজশাহীর গোদাগাড়ির মহিষালবাড়ী ও পবার দামকুড়া ছিল জমজমাট পশুরহাট। ২০০১ সালে রাজশাহী নগরীতে চালু হয় সিটিহাট। তিনটি হাটই বসে রোববার ও বুধবার। সপ্তাহের একই দিনে হাট হওয়ায় আওয়ামী লীগের শাসনামলে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট নামমাত্র মূল্যে ইজারা নিয়ে মহিষালবাড়ী ও দামকুড়ায় গরু-মহিষ তোলা বন্ধ করে দেয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দামকুড়া হাট মোহাম্মদ শাহ জাহান আলী এবং মহিশালবাড়ি ও সিটি হাটের ইজারা পেয়েছেন শওকত আলীসহ কয়েকজন। ভিন্ন ব্যক্তিরা ইজারা নেয়ায় দুই পক্ষই নিজেদের হাটে পশু টানতে মরিয়া।

এরই মধ্যে দুইপক্ষের ইজারাদাররা একে অপরের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাছে রাস্তা থেকে পশুবাহী গাড়ি জোর করে হাটে নেয়ার অভিযোগ করেছেন। রাজশাহী দামকুড়া হাটের ইজারাদার মোহাম্মদ শাহজাহান আলী বলেন, সিটি হাটের লোকজন জোর করে পশুবাহী গাড়ি তাদের হাটে নিয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে গত ২৯ এপ্রিল বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি, যার অনুলিপি জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও পাঠানো হয়েছে। তারপরও বিষয়টির সুরাহা হয়নি।

রাজশাহী সিটি হাটের ইজারাদার শওকত আলী বলেন, দামকুড়া হাটের লোকজনই রাস্তা থেকে গরু নিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ও মিডিয়া মুখপাত্র মোহাম্মদ রকিবুল হাসান ইবনে রহমান বলেন, পছন্দমতো হাটে পশু নেয়ার ব্যবস্থা, দুই পক্ষের বাড়াবাড়ি নিয়ন্ত্রণ ও কোরবানি হাটের নিরাপত্তায় পুলিশ কাজ করছে। দ্রুতই বিষয়গুলো সুরাহা হবে।

উল্লেখ্য, এক বছরের জন্য ইজারা মূল্য, ভ্যাট ও আয়কর মিলে মহিষালবাড়ি ৫৬ লাখ, দামকুড়া দেড় কোটি, সিটি হাট ১৭ কোটি টাকায় নিয়েছেন ইজারাদাররা।

Share