অপরাধ
ছেলেকে সুবিধা দিতে মেধাবীদের বঞ্চিত করেন মাদ্রাসা সুপার

দাখিল মাদ্রাসার এক সুপারের বিরুদ্ধে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে নিজের ছেলেকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ার মধুপুরে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক মধুপুর ঈদগাহ্ দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. রুহুল আমিন।
জানা গেছে, ২০২৩ সালে বার্ষিক পরীক্ষায় নবম শ্রেণিতে প্রথম হওয়ায় হাসিনা এবং অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুমি আক্তার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ট্যাবলেট বরাদ্দ পান। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন রেখে ট্যাব দুটি জমা রাখে।
ছয় মাস পর হাসিনার পরিবার জানতে পেরে ট্যাবের দাবি জানালে বহু টালবাহানার পর একটি ট্যাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে সুমির ট্যাবটি দীর্ঘ দুই বছর ধরে সুপার নিজ ছেলেকে দিয়ে ব্যবহার করান।
বিষয়টি সম্প্রতি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন মাদ্রাসার সুপারকে অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে চাপের মুখে তিনি সুমিকে ট্যাবটি ফেরত দিতে বাধ্য হন।
সুমি আক্তার জানান, আমি যখন জানতে পারি আমার নামে ট্যাব বরাদ্দ হয়েছে, তখন বাবাকে জানাই। প্রতিবেশীদের নিয়ে সুপারের কাছে গেলে তিনি শুরুতে দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে অনেক কথা-কাটাকাটির পর আমাকে ট্যাবটি ফেরত দেন। সেটা এখন প্রায় অকেজো। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।
মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেন, সুপার রুহুল আমিন এর আগে চারটি নিয়োগ বাণিজ্যে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্যাব আত্মসাতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি রুহুল আমিন। তবে নিয়োগ সংক্রান্ত লেনদেনের প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি জেলা শিক্ষা অফিসারকে ১ লাখ টাকা দিয়েছি। নিজেরা টাকা নেইনি, তৎকালীন সভাপতি সব জানেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।