Connect with us

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানিরা ‘ব্যর্থ জাতি’, ‘ইসলাম জানে না’: আসাদউদ্দিন ওয়াইসি

Published

on

আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ঃ ছবি সংগৃহীত

পাকিস্তানিদের ‘ব্যর্থ জাতি’ বলে অভিহিত করেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান এবং ভারতের হায়দ্রাবাদের সংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেছেন, যারা পাকিস্তানে ‘বাজে কথা’ বলছেন তারা ‘ইসলাম জানেন না’।  খবর এনডিটিভির।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনিরকে সম্বোধন করে ওয়াইসি বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় ভারতীয় মুসলমানরা সেখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।  আমি তাকে বলতে চাই যে আমরা ১৯৪৭ সালে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমরা ভারত ত্যাগ করব না, আমরা (মুহম্মদ আলী) জিন্নাহর বার্তা প্রত্যাখ্যান করেছি। ভারত আমাদের ভূমি ছিল, এটি আমাদের ভূমি এবং ইনশাআল্লাহ, আমাদের ভূমিই থাকবে। যারা পাকিস্তানে বাজে কথা বলছেন, আমি তাদের বলতে চাই যে তোমরা ইসলাম জানো না, তোমরা এর শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। ’

এআইএমআইএম নেতা বলেন, ‘আপনারা এমন একটি দেশে আছেন যেখানে মানুষকে মুহাজির, পাঠান বলা হয়।  আপনার দেশ এতটাই দরিদ্র যে লোকেরা চিন্তিত।  আফগানিস্তানের সঙ্গে আপনাদের মতপার্থক্য এবং ইরানের সাঙ্গে সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। পাকিস্তান একটি ব্যর্থ জাতি।’

পহেলগাঁও হামলার পর সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানি নেতাদের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শিরোনামে আসা হায়দরাবাদের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘কিছু শক্তি ভারতকে কখনও শান্তিতে থাকতে দেবে না। সন্ত্রাসবাদের এই বিষক্রিয়া বন্ধ করার জন্য তাদের একটি সুনির্দিষ্ট জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। ’

ওয়াইসি আরও বলেন, পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা সমগ্র জাতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে।  বিভিন্ন শ্রেণী ও সম্প্রদায়কে বিভক্ত করেছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা এই সময়ে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে, আমি তাদের বলতে চাই, তারা ভারতকে দুর্বল করে তুলছে। যদি আপনি এই ধরনের সন্ত্রাসী হামলার পরে হিন্দু-মুসলিম করেন, তাহলে আপনার মনে রাখা উচিত যে আইএসআই এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসীরা খুশি হবে। ‘

প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনার পর থেকে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলার জন্য ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানকে দায়ী না করলেও তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল, কূটনীতিক বহিষ্কার ও সিন্ধু নদের পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতের মতো বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ নেয়।

Share
Continue Reading
Click to comment

পাকিস্তানিদের ‘ব্যর্থ জাতি’ বলে অভিহিত করেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান এবং ভারতের হায়দ্রাবাদের সংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেছেন, যারা পাকিস্তানে ‘বাজে কথা’ বলছেন তারা ‘ইসলাম জানেন না’।  খবর এনডিটিভির।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনিরকে সম্বোধন করে ওয়াইসি বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় ভারতীয় মুসলমানরা সেখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।  আমি তাকে বলতে চাই যে আমরা ১৯৪৭ সালে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমরা ভারত ত্যাগ করব না, আমরা (মুহম্মদ আলী) জিন্নাহর বার্তা প্রত্যাখ্যান করেছি। ভারত আমাদের ভূমি ছিল, এটি আমাদের ভূমি এবং ইনশাআল্লাহ, আমাদের ভূমিই থাকবে। যারা পাকিস্তানে বাজে কথা বলছেন, আমি তাদের বলতে চাই যে তোমরা ইসলাম জানো না, তোমরা এর শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। ’

এআইএমআইএম নেতা বলেন, ‘আপনারা এমন একটি দেশে আছেন যেখানে মানুষকে মুহাজির, পাঠান বলা হয়।  আপনার দেশ এতটাই দরিদ্র যে লোকেরা চিন্তিত।  আফগানিস্তানের সঙ্গে আপনাদের মতপার্থক্য এবং ইরানের সাঙ্গে সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। পাকিস্তান একটি ব্যর্থ জাতি।’

পহেলগাঁও হামলার পর সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানি নেতাদের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শিরোনামে আসা হায়দরাবাদের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘কিছু শক্তি ভারতকে কখনও শান্তিতে থাকতে দেবে না। সন্ত্রাসবাদের এই বিষক্রিয়া বন্ধ করার জন্য তাদের একটি সুনির্দিষ্ট জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। ’

ওয়াইসি আরও বলেন, পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা সমগ্র জাতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে।  বিভিন্ন শ্রেণী ও সম্প্রদায়কে বিভক্ত করেছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা এই সময়ে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে, আমি তাদের বলতে চাই, তারা ভারতকে দুর্বল করে তুলছে। যদি আপনি এই ধরনের সন্ত্রাসী হামলার পরে হিন্দু-মুসলিম করেন, তাহলে আপনার মনে রাখা উচিত যে আইএসআই এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসীরা খুশি হবে। ‘

প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনার পর থেকে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলার জন্য ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানকে দায়ী না করলেও তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল, কূটনীতিক বহিষ্কার ও সিন্ধু নদের পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতের মতো বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ নেয়।

Share