Connect with us

রাজনীতি

আদালতপাড়ায় ঘোরার কথা ভুলে গেছেন, ড. ইউনূসকে মামুনুল হকের প্রশ্ন

Published

on

ছবি: পরিক্রমা

নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলছি, আগামী দুই মাসের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সব নেতা–কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।’

শনিবার দুপুরে রাজধানী ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বিলুপ্ত করা, সংবিধানে প্রস্তাবিত বহুত্ববাদ বাতিলসহ ৪ দফা দাবিতে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত মহাসমাবেশে মামুনুল হক এ কথা বলেন।

মামলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ড. ইউনূসের সঙ্গে আমরা হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অনেকবার সাক্ষাৎ করে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন করেছি, আমাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী আমলে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করেন। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে, সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না। প্রফেসর ড. ইউনূস আপনি কি সেই কথা ভুলে গিয়েছেন, কয়েক মাস মাস আগেও আমাদের সামনে আদালতের পাড়ায় ঘুরতেন।

মামুনুল হক আরও বলেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন পবিত্র কুরআন ও ইসলামকে কটাক্ষ করেছে। তারা মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের শাস্তি বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

শেখ হাসিনার ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে : হাসনাত

রাখাইনে মানবিক করিডোর দেওয়ার বিষয়েও অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে মামুনুল বলেন, একটা বার্তা দিতে চাই। মনে রাখবেন, একাত্তর সালে মুক্তিযোদ্ধারা বলেছিল, আমরা পিন্ডির গোলামীর জিঞ্জির ছিন্ন করেছি, দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়৷ চব্বিশের জুলাইয়ের স্বাধীনতা সংগ্রামের পর আমি বলতে চাই, আমরা দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউ ইউর্কের গোলামী করবার জন্য নয়।

সরকারকে সতর্ক করে তিনি আরও বলেন, যদি বাংলাদেশকে ওয়াশিংটনের দাসে পরিণত করার কোনো চক্রান্ত করা হয়, হিউম্যানিটরিয়ান করিডোরের নামে বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হরণ করার জন্য অপতৎপরতা চালানো হয়, তাহলে সারা দেশের মানুষের প্রতি আমার আহ্বান- যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও, দেশের জন্য যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও।

চার দফা দাবিতে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে প্রধান দাবি হচ্ছে, অনতিবিলম্বে হেফাজত নেতাদের নামে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার। সংগঠনটির হিসাবমতে, সারা দেশে হেফাজত নেতাদের নামে প্রায় ৩০০টি মামলা রয়েছে।

এ ছাড়া ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড, ২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর ঘিরে হত্যাকাণ্ড, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার। এরপর যথাক্রমে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, সংবিধানের প্রস্তাবনায় আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা, ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি রয়েছে।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মহাসমাবেশ থেকে নতুন দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন এবং আগামী ২৩ মে বাদ জুমা চার দফা আদায়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে সংগঠনটি।

 

Share

নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলছি, আগামী দুই মাসের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সব নেতা–কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।’

শনিবার দুপুরে রাজধানী ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বিলুপ্ত করা, সংবিধানে প্রস্তাবিত বহুত্ববাদ বাতিলসহ ৪ দফা দাবিতে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত মহাসমাবেশে মামুনুল হক এ কথা বলেন।

মামলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ড. ইউনূসের সঙ্গে আমরা হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অনেকবার সাক্ষাৎ করে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন করেছি, আমাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী আমলে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করেন। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে, সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না। প্রফেসর ড. ইউনূস আপনি কি সেই কথা ভুলে গিয়েছেন, কয়েক মাস মাস আগেও আমাদের সামনে আদালতের পাড়ায় ঘুরতেন।

মামুনুল হক আরও বলেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন পবিত্র কুরআন ও ইসলামকে কটাক্ষ করেছে। তারা মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের শাস্তি বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

শেখ হাসিনার ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে : হাসনাত

রাখাইনে মানবিক করিডোর দেওয়ার বিষয়েও অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে মামুনুল বলেন, একটা বার্তা দিতে চাই। মনে রাখবেন, একাত্তর সালে মুক্তিযোদ্ধারা বলেছিল, আমরা পিন্ডির গোলামীর জিঞ্জির ছিন্ন করেছি, দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়৷ চব্বিশের জুলাইয়ের স্বাধীনতা সংগ্রামের পর আমি বলতে চাই, আমরা দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউ ইউর্কের গোলামী করবার জন্য নয়।

সরকারকে সতর্ক করে তিনি আরও বলেন, যদি বাংলাদেশকে ওয়াশিংটনের দাসে পরিণত করার কোনো চক্রান্ত করা হয়, হিউম্যানিটরিয়ান করিডোরের নামে বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হরণ করার জন্য অপতৎপরতা চালানো হয়, তাহলে সারা দেশের মানুষের প্রতি আমার আহ্বান- যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও, দেশের জন্য যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও।

চার দফা দাবিতে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে প্রধান দাবি হচ্ছে, অনতিবিলম্বে হেফাজত নেতাদের নামে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার। সংগঠনটির হিসাবমতে, সারা দেশে হেফাজত নেতাদের নামে প্রায় ৩০০টি মামলা রয়েছে।

এ ছাড়া ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড, ২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর ঘিরে হত্যাকাণ্ড, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার। এরপর যথাক্রমে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, সংবিধানের প্রস্তাবনায় আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা, ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি রয়েছে।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মহাসমাবেশ থেকে নতুন দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন এবং আগামী ২৩ মে বাদ জুমা চার দফা আদায়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে সংগঠনটি।

 

Share