Connect with us

বিনোদন

সময়ের সঙ্গে আমাদেরও বদলাতে হয়: প্রিয়াংকা

Published

on

সংগীতের পরিচিত নাম প্রিয়াংকা বিশ্বাস। ছোটবেলা থেকেই গান করছেন তিনি। গানের ওপর আছে শিক্ষাও। প্রতিযোগিতা করেছেন গানের রিয়েলিটি শো ক্লোজআপ ওয়ানে। ভবিষ্যতে থাকতে চান সংগীত নিয়ে, যা নিয়ে রয়েছে তার পরিকল্পনাও। এ বিষয়গুলো নিয়ে তিনি কথা বলেছেন কালবেলার সঙ্গে। লিখেছেন রাজু আহমেদ।

গানের প্রতি যেভাবে ভালোবাসা জন্ম হয় আপনার…

আমি আমার বাবার মুখে গান শুনে বড় হয়েছি। এ ছাড়া ছোটবেলা থেকেই আমি গানের পরিবেশে বড় হয়েছি। কারণ আমাদের বাসায় সংগীতের চর্চা হতো। যেখানে পরিবার মিলে রবীন্দ্রসংগীত, নজরুল সংগীত এবং মান্না দের গান করত। তবে আমি নজরুল সংগীত গাইতে পছন্দ করতাম। এভাবেই আমার সংগীতের শুরু, যা এখনো চলমান।

যে ধরনের গান এখন বেশি করা হয়?

এখন আধুনিক গান নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছি। দর্শকের ভালো লাগার বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের গান করতে হয়। সে জায়গা থেকে আধুনিক গানের সঙ্গেই আছি। তবে সুযোগ পেলেই করা হয় নজরুল সংগীত। কারণ এই সংগীত করে আমি আনন্দ পাই।

আপনি টেলিভিশনসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে লাইভ গান করেছন। এর মধ্যে কোথায় গান করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?

আমি লাইভ স্টেজে গান করতে সবসময় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। কারণ এখানে শ্রোতাদের সঙ্গে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ হয়। তারা গান শুনে তাৎক্ষণিক তাদের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন, যা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। এ ছাড়া যদি বলি আরও একটি ভালো লাগার জায়গার কথা। তাহলে বলব মাইক্রোফোনের সামনে যখন দাঁড়াই সেই সময়ের কথা। এই জিনিসটার সামনে দাঁড়ালে পৃথিবীর সবকিছু আমি ভুলে যাই। আর চেষ্টা করি নিজের সেরাটি দিতে। কারণ প্রতিটি নতুন গান তৈরি হয়, তখন এক একটি গান আমার কাছে সন্তানের মতো। তাই সন্তান যেমন যত্ন করে বড় করা হয়, ঠিক তেমনই রেকর্ডিংয়ে এক একটি গান যত্ন করে কণ্ঠ দিয়ে থাকি। তাই এই দুটি জায়গায় গান করতে আমি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।

একটি সময় ক্যাসেট ছিল, এরপর সিডি, এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গান প্রকাশ হচ্ছে। মিউজিকের এই পরিবর্তন নিয়ে আপনার মতামত জানতে চাই…

সময়ের সঙ্গে গোটা পৃথিবীতেই পরিবর্তন এসেছে। যেই ছোঁয়া বিশ্ব সংগীতেও লেগেছে। ক্যাসেট, সিডিতে গান প্রকাশ হতো। এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ হয়, যা আমার কাছে ইতিবাচক বিষয়। কারণ এখন একজন শিল্পী চাইলে তার নিজের গান নিজেই প্রকাশ করতে পারে। যার জন্য তার কোনো মিউজিক লেভেলের কাছে যেতে হয় না। তার গানটি দেশের পাশাপাশি বিদেশি শ্রোতারাও শুনতে পারেন। এটি নিঃসন্দেহে ভালো দিক। তবে আছে এর খারাপ দিকও। যেমন আগে কালজয়ী গানের সংখ্যা বেশি ছিল। একটি গান যুগের পর যুগ মানুষ শুনত। সেটি এখন আর নেই। একটি গান এখন রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়, আবার হুট করে হারিয়ে যায়। তারপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরও বদলাতে হয়।

গান নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা…

আমি গানের মানুষ। এই পরিচয় নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই। তার জন্য কিছু গান করতে চাই, যে গান শ্রোতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নেবে দীর্ঘ সময়ের জন্য। গান নিয়ে এটিই আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।

Share
Continue Reading
Click to comment

সংগীতের পরিচিত নাম প্রিয়াংকা বিশ্বাস। ছোটবেলা থেকেই গান করছেন তিনি। গানের ওপর আছে শিক্ষাও। প্রতিযোগিতা করেছেন গানের রিয়েলিটি শো ক্লোজআপ ওয়ানে। ভবিষ্যতে থাকতে চান সংগীত নিয়ে, যা নিয়ে রয়েছে তার পরিকল্পনাও। এ বিষয়গুলো নিয়ে তিনি কথা বলেছেন কালবেলার সঙ্গে। লিখেছেন রাজু আহমেদ।

গানের প্রতি যেভাবে ভালোবাসা জন্ম হয় আপনার…

আমি আমার বাবার মুখে গান শুনে বড় হয়েছি। এ ছাড়া ছোটবেলা থেকেই আমি গানের পরিবেশে বড় হয়েছি। কারণ আমাদের বাসায় সংগীতের চর্চা হতো। যেখানে পরিবার মিলে রবীন্দ্রসংগীত, নজরুল সংগীত এবং মান্না দের গান করত। তবে আমি নজরুল সংগীত গাইতে পছন্দ করতাম। এভাবেই আমার সংগীতের শুরু, যা এখনো চলমান।

যে ধরনের গান এখন বেশি করা হয়?

এখন আধুনিক গান নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছি। দর্শকের ভালো লাগার বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের গান করতে হয়। সে জায়গা থেকে আধুনিক গানের সঙ্গেই আছি। তবে সুযোগ পেলেই করা হয় নজরুল সংগীত। কারণ এই সংগীত করে আমি আনন্দ পাই।

আপনি টেলিভিশনসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে লাইভ গান করেছন। এর মধ্যে কোথায় গান করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?

আমি লাইভ স্টেজে গান করতে সবসময় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। কারণ এখানে শ্রোতাদের সঙ্গে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ হয়। তারা গান শুনে তাৎক্ষণিক তাদের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন, যা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। এ ছাড়া যদি বলি আরও একটি ভালো লাগার জায়গার কথা। তাহলে বলব মাইক্রোফোনের সামনে যখন দাঁড়াই সেই সময়ের কথা। এই জিনিসটার সামনে দাঁড়ালে পৃথিবীর সবকিছু আমি ভুলে যাই। আর চেষ্টা করি নিজের সেরাটি দিতে। কারণ প্রতিটি নতুন গান তৈরি হয়, তখন এক একটি গান আমার কাছে সন্তানের মতো। তাই সন্তান যেমন যত্ন করে বড় করা হয়, ঠিক তেমনই রেকর্ডিংয়ে এক একটি গান যত্ন করে কণ্ঠ দিয়ে থাকি। তাই এই দুটি জায়গায় গান করতে আমি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।

একটি সময় ক্যাসেট ছিল, এরপর সিডি, এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গান প্রকাশ হচ্ছে। মিউজিকের এই পরিবর্তন নিয়ে আপনার মতামত জানতে চাই…

সময়ের সঙ্গে গোটা পৃথিবীতেই পরিবর্তন এসেছে। যেই ছোঁয়া বিশ্ব সংগীতেও লেগেছে। ক্যাসেট, সিডিতে গান প্রকাশ হতো। এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ হয়, যা আমার কাছে ইতিবাচক বিষয়। কারণ এখন একজন শিল্পী চাইলে তার নিজের গান নিজেই প্রকাশ করতে পারে। যার জন্য তার কোনো মিউজিক লেভেলের কাছে যেতে হয় না। তার গানটি দেশের পাশাপাশি বিদেশি শ্রোতারাও শুনতে পারেন। এটি নিঃসন্দেহে ভালো দিক। তবে আছে এর খারাপ দিকও। যেমন আগে কালজয়ী গানের সংখ্যা বেশি ছিল। একটি গান যুগের পর যুগ মানুষ শুনত। সেটি এখন আর নেই। একটি গান এখন রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়, আবার হুট করে হারিয়ে যায়। তারপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরও বদলাতে হয়।

গান নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা…

আমি গানের মানুষ। এই পরিচয় নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই। তার জন্য কিছু গান করতে চাই, যে গান শ্রোতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নেবে দীর্ঘ সময়ের জন্য। গান নিয়ে এটিই আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।

Share