রুশ তেলের কারণে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্যে নতুন উত্তেজনা - Porikroma News
Connect with us

আন্তর্জাতিক

রুশ তেলের কারণে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্যে নতুন উত্তেজনা

Published

on

রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর ইতোমধ্যেই সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আসন্ন আলোচনা ব্যর্থ হলে ভারতের ওপর আরও বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হবে।

ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো শুক্রবার আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে বৈঠক করবেন ট্রাম্প ও পুতিন। আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও শান্তিচুক্তি প্রস্তাব প্রধান এজেন্ডা হিসেবে থাকবে।

বেসেন্ট ব্লুমবার্গ টিভিকে বলেন, রুশ তেল কেনার কারণে আমরা ভারতের ওপর সেকেন্ডারি শুল্ক দিয়েছি। যদি আলোচনায় ইতিবাচক ফল না আসে, তাহলে শুল্ক আরও বাড়বে। এর আগে চলতি মাসে ট্রাম্প রাশিয়া থেকে তেল ও অস্ত্র কেনার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক আরোপ করেন, যা বিদ্যমান ২৫% শুল্কের সঙ্গে যোগ হয়ে মোট ৫০% এ পৌঁছেছে।

বিবিসি জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ভারত সস্তা রুশ অপরিশোধিত তেল আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। ২০২১ সালে ভারতের তেল আমদানিতে রুশ তেলের অংশ ছিল মাত্র ৩%, ২০২৪ সালে তা বেড়ে ৩৫-৪০% হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই পদক্ষেপ দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ক ও বাণিজ্য আলোচনায় টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছে।

ট্রাম্পের দাবি, তার শুল্কনীতি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি চাঙ্গা ও বৈশ্বিক বাণিজ্যে ন্যায্যতা আনার অংশ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ২৭ আগস্ট কার্যকর হতে যাওয়া নতুন ৫০% শুল্ক ভারতের রপ্তানিমুখী শিল্পে বড় ধাক্কা দেবে এবং প্রবৃদ্ধি অর্ধ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।

Share

রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর ইতোমধ্যেই সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আসন্ন আলোচনা ব্যর্থ হলে ভারতের ওপর আরও বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হবে।

ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো শুক্রবার আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে বৈঠক করবেন ট্রাম্প ও পুতিন। আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও শান্তিচুক্তি প্রস্তাব প্রধান এজেন্ডা হিসেবে থাকবে।

বেসেন্ট ব্লুমবার্গ টিভিকে বলেন, রুশ তেল কেনার কারণে আমরা ভারতের ওপর সেকেন্ডারি শুল্ক দিয়েছি। যদি আলোচনায় ইতিবাচক ফল না আসে, তাহলে শুল্ক আরও বাড়বে। এর আগে চলতি মাসে ট্রাম্প রাশিয়া থেকে তেল ও অস্ত্র কেনার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক আরোপ করেন, যা বিদ্যমান ২৫% শুল্কের সঙ্গে যোগ হয়ে মোট ৫০% এ পৌঁছেছে।

বিবিসি জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ভারত সস্তা রুশ অপরিশোধিত তেল আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। ২০২১ সালে ভারতের তেল আমদানিতে রুশ তেলের অংশ ছিল মাত্র ৩%, ২০২৪ সালে তা বেড়ে ৩৫-৪০% হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই পদক্ষেপ দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ক ও বাণিজ্য আলোচনায় টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছে।

ট্রাম্পের দাবি, তার শুল্কনীতি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি চাঙ্গা ও বৈশ্বিক বাণিজ্যে ন্যায্যতা আনার অংশ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ২৭ আগস্ট কার্যকর হতে যাওয়া নতুন ৫০% শুল্ক ভারতের রপ্তানিমুখী শিল্পে বড় ধাক্কা দেবে এবং প্রবৃদ্ধি অর্ধ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।

Share