রাজনীতি
বিএনপির অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ: নেতৃত্ব বাঁচাতে কড়া পদক্ষেপ

পরিক্রমা নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, ক্ষমতার লড়াই ও শৃঙ্খলাভঙ্গের নাটকীয় বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এক সঙ্গে পাঁচ নেতাকে বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে। দলীয় শৃঙ্খলা চরমভাবে ভঙ্গ এবং সংঘাত-সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচ নেতাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেনঃ
নুরুল আমিন চেয়ারম্যান – চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক
গাজী নিজাম উদ্দিন – মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব
দিদারুল ইসলাম মিয়াজী – বারৈয়ারহাট পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক
সিরাজুল ইসলাম ও কামাল উদ্দিন – যুবদল নেতা
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্বের লড়াই, পাল্টাপাল্টি গ্রুপিং এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কর্মকাণ্ডে সরাসরি যুক্ত ছিলেন এই পাঁচ নেতা। কেন্দ্রীয় পর্যায়ের একাধিক সতর্কবার্তা সত্ত্বেও তাঁরা রাজনৈতিক সংঘাতে লিপ্ত হন। মিরসরাই ও বারৈয়ারহাট এলাকায় সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি সভা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে অপরকে হেয় করার অভিযোগও রয়েছে।
দলীয় সূত্র বলছে, সম্প্রতি মিরসরাইয়ে এক অভ্যন্তরীণ বৈঠকে হাতাহাতি হয়, যা ভিডিও আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর কেন্দ্র থেকে কড়া অবস্থান নেয় বিএনপি হাইকমান্ড। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও এই নেতাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
রিজভী আহমেদ বলেন, “দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য ও বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টাকারীদের কোনো স্থান বিএনপিতে নেই। বিএনপি একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল। যারা নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থে দলের ভাবমূর্তি ধ্বংস করতে চায়, তাদের জন্য দল দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে।”
এই বহিষ্কার রাজনৈতিকভাবে বার্তা দিচ্ছে বিএনপি অভ্যন্তরীণ শুদ্ধি অভিযানে নেমেছে। গণতান্ত্রিক দলের কাঠামো মজবুত করতে হলে ভিতরে থাকা অবাধ্য ও দুর্নীতিপরায়ণদের ছেঁটে ফেলাই একমাত্র পথ এমনটাই বিশ্বাস করছে কেন্দ্রীয় কমিটি।