Connect with us

বাংলাদেশ

চিকিৎসার খরচে প্রতিবছর গরিব হচ্ছে ৫০ লাখ মানুষ: বিএমইউ উপাচার্য

Published

on

চিকিৎসার খরচ সামলাতে গিয়ে প্রতিবছর দেশে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।

তিনি বলেন, ‘দেশে বেশির ভাগ মানুষ ঋণ নিয়ে চিকিৎসা করতে বাধ্য হন। অনেকে সেই ঋণ শোধ করতে গিয়ে জমিজমাও বিক্রি করে দেন।’

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস (বিএসএনএস)-এর তিন দিনব্যাপী চতুর্থ অন্তর্বর্তী সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের খরচ সাধারণ মানুষের জন্য বড় চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসা নিতে গিয়ে অনেকেই ঋণ এবং সুদের বোঝা বইছেন। তবু অনেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান না। আবার দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার খরচ দিতে গিয়ে জীবনের অন্য মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে স্বাস্থ্যসেবা বড় একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোগীর সংখ্যা বাড়লেও, সরকারি-বেসরকারি খাতে চিকিৎসার খরচ কমাতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।’

উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ‘ওই সব দেশে আধুনিক প্রযুক্তি থাকলেও রোগী কম। কিন্তু আমাদের দেশে রোগীর অভাব নেই, বরং সঠিক ব্যবস্থাপনা ও দক্ষতার ঘাটতি সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।’

সরকারকে কিছু প্রস্তাব দিয়ে ডা. শাহিনুল বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে নতুন পরিকল্পনা নিতে হবে। জনসংখ্যা যেহেতু বাড়ছে, তাই চিকিৎসাসেবার মান ধরে রাখতে উন্নত অবকাঠামো ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দরকার।’

অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারাও বলেন, চিকিৎসা খাতের আর্থিক চাপ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিমা, রাষ্ট্রীয় সহায়তা এবং স্বাস্থ্যসেবায় সংস্কার জরুরি। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে সাধারণ মানুষ উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।

জানা গেছে, বিএসএনএস আয়োজিত এই তিন দিনের সভায় বৈজ্ঞানিক সম্মেলন, লাইভ সার্জারি, থ্রিডি অ্যানাটমি সেশন এবং অ্যান্ডোভাস্কুলার সিমুলেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এসব আয়োজনে নিউরোসার্জনরা চিকিৎসার আধুনিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, বিএসএনএস-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদুল হক, সদস্য সচিব ডা. মো. নুরুজ্জামান খান এবং বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. মাঈনুল হক সরকারসহ দেশি-বিদেশি ৩০০ জনের বেশি নিউরোসার্জন।

Share

চিকিৎসার খরচ সামলাতে গিয়ে প্রতিবছর দেশে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।

তিনি বলেন, ‘দেশে বেশির ভাগ মানুষ ঋণ নিয়ে চিকিৎসা করতে বাধ্য হন। অনেকে সেই ঋণ শোধ করতে গিয়ে জমিজমাও বিক্রি করে দেন।’

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস (বিএসএনএস)-এর তিন দিনব্যাপী চতুর্থ অন্তর্বর্তী সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের খরচ সাধারণ মানুষের জন্য বড় চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসা নিতে গিয়ে অনেকেই ঋণ এবং সুদের বোঝা বইছেন। তবু অনেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান না। আবার দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার খরচ দিতে গিয়ে জীবনের অন্য মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে স্বাস্থ্যসেবা বড় একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোগীর সংখ্যা বাড়লেও, সরকারি-বেসরকারি খাতে চিকিৎসার খরচ কমাতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।’

উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ‘ওই সব দেশে আধুনিক প্রযুক্তি থাকলেও রোগী কম। কিন্তু আমাদের দেশে রোগীর অভাব নেই, বরং সঠিক ব্যবস্থাপনা ও দক্ষতার ঘাটতি সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।’

সরকারকে কিছু প্রস্তাব দিয়ে ডা. শাহিনুল বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে নতুন পরিকল্পনা নিতে হবে। জনসংখ্যা যেহেতু বাড়ছে, তাই চিকিৎসাসেবার মান ধরে রাখতে উন্নত অবকাঠামো ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দরকার।’

অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারাও বলেন, চিকিৎসা খাতের আর্থিক চাপ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিমা, রাষ্ট্রীয় সহায়তা এবং স্বাস্থ্যসেবায় সংস্কার জরুরি। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে সাধারণ মানুষ উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।

জানা গেছে, বিএসএনএস আয়োজিত এই তিন দিনের সভায় বৈজ্ঞানিক সম্মেলন, লাইভ সার্জারি, থ্রিডি অ্যানাটমি সেশন এবং অ্যান্ডোভাস্কুলার সিমুলেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এসব আয়োজনে নিউরোসার্জনরা চিকিৎসার আধুনিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, বিএসএনএস-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদুল হক, সদস্য সচিব ডা. মো. নুরুজ্জামান খান এবং বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. মাঈনুল হক সরকারসহ দেশি-বিদেশি ৩০০ জনের বেশি নিউরোসার্জন।

Share