গুলশানে চাঁদাবাজি: ছাত্র-আন্দোলনের মুখোশে জানে আলমের সাম্রাজ্য উন্মোচিত - Porikroma News
Connect with us

অপরাধ

গুলশানে চাঁদাবাজি: ছাত্র-আন্দোলনের মুখোশে জানে আলমের সাম্রাজ্য উন্মোচিত

Published

on

পরিক্রমা নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া জানে আলম ওরফে অপু এক সময়ের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, আজ ক্ষমতার ফাঁদ পেতে তদবির-বাণিজ্যের অন্যতম প্রতীক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখোশ পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় মাথা তুলে দাঁড়ানো এই যুবকের উত্থান, পতন এবং নেপথ্যের অন্ধকার এক ‘আধিপত্য-অপরাধ-ছদ্মবিপ্লব’-এর চিত্র উন্মোচন করেছে।

জয়পুরহাটের পুনঘরদীঘি গ্রামের জানে আলম কখনো ছাত্রদলে, কখনো জাতীয় নাগরিক পার্টিতে, কখনো বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হয়ে রাজধানীর রাজনীতি ও প্রশাসনের অন্দরমহলে ঢুকে পড়ে। ফেসবুকে শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ছবি, দামি পোশাক, প্রাইভেট কারে চলাফেরা সব মিলিয়ে তৈরি করে এক কৃত্রিম ‘ক্ষমতার ক্যারিশমা’।

পুলিশ বলছে, এই ভুয়া ক্যারিশমা ব্যবহার করেই গুলশান এলাকাজুড়ে চলে তার চাঁদাবাজি। অথচ জয়পুরহাটে তাঁর নামে জমি বন্ধক, মাটির ঘর আর অভিভাবকহীন জীবনের করুণ অধ্যায়। ছাত্রদল থেকে বহিষ্কৃত, সমাজে তাচ্ছিল্যভরা চাহনি সবকিছুর মুখে দাঁড়িয়ে ‘বিপ্লবের’ নামে এই অপরাধের পুঁজি গড়েন জানে আলম।

তাঁর গ্রেপ্তারের খবরে জয়পুরহাটের মানুষ বিস্মিত নয় বরং তাঁরা বলছেন, “এই নাটকের পরিণতি আমরা আগেই আন্দাজ করেছিলাম।”

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ইতোমধ্যে তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে।

এই ঘটনায় রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক নৈতিকতার দুই স্তম্ভের ভিত আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হলো।

Share

পরিক্রমা নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া জানে আলম ওরফে অপু এক সময়ের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, আজ ক্ষমতার ফাঁদ পেতে তদবির-বাণিজ্যের অন্যতম প্রতীক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখোশ পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় মাথা তুলে দাঁড়ানো এই যুবকের উত্থান, পতন এবং নেপথ্যের অন্ধকার এক ‘আধিপত্য-অপরাধ-ছদ্মবিপ্লব’-এর চিত্র উন্মোচন করেছে।

জয়পুরহাটের পুনঘরদীঘি গ্রামের জানে আলম কখনো ছাত্রদলে, কখনো জাতীয় নাগরিক পার্টিতে, কখনো বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হয়ে রাজধানীর রাজনীতি ও প্রশাসনের অন্দরমহলে ঢুকে পড়ে। ফেসবুকে শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ছবি, দামি পোশাক, প্রাইভেট কারে চলাফেরা সব মিলিয়ে তৈরি করে এক কৃত্রিম ‘ক্ষমতার ক্যারিশমা’।

পুলিশ বলছে, এই ভুয়া ক্যারিশমা ব্যবহার করেই গুলশান এলাকাজুড়ে চলে তার চাঁদাবাজি। অথচ জয়পুরহাটে তাঁর নামে জমি বন্ধক, মাটির ঘর আর অভিভাবকহীন জীবনের করুণ অধ্যায়। ছাত্রদল থেকে বহিষ্কৃত, সমাজে তাচ্ছিল্যভরা চাহনি সবকিছুর মুখে দাঁড়িয়ে ‘বিপ্লবের’ নামে এই অপরাধের পুঁজি গড়েন জানে আলম।

তাঁর গ্রেপ্তারের খবরে জয়পুরহাটের মানুষ বিস্মিত নয় বরং তাঁরা বলছেন, “এই নাটকের পরিণতি আমরা আগেই আন্দাজ করেছিলাম।”

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ইতোমধ্যে তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে।

এই ঘটনায় রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক নৈতিকতার দুই স্তম্ভের ভিত আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হলো।

Share