Connect with us

আন্তর্জাতিক

The Vulture and the Little Girl: একটি ছবির পেছনের হৃদয়বিদারক গল্প

Published

on

লিখেছেন: নুর হোসেন ইমাম

১৯৯৩ সালে তোলা একটি ছবি বিশ্ববাসীর বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ছবিটিতে দেখা যায়—একটি ক্ষুধার্ত শিশু ভূমিতে পড়ে রয়েছে, আর তার কিছু দূরে দাঁড়িয়ে আছে একটি শকুন, যেন মৃত্যুর অপেক্ষায়। এই হৃদয়বিদারক মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ফটোসাংবাদিক কেভিন কার্টার (Kevin Carter)


🖼️ ছবিটির নাম ও প্রেক্ষাপট

ছবিটির নাম: “The Vulture and the Little Girl”
স্থান: আয়োদ, সুদান
সময়: ১৯৯৩ সাল
ছবির পটভূমিতে ছিল আফ্রিকার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ, যেখানে হাজার হাজার মানুষ খাবারের অভাবে মৃত্যুর মুখে পড়ছিল। শিশুটি (যা পরে জানা যায়, একটি ছেলে ছিল) নিকটবর্তী একটি ত্রাণশিবিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।


🏆 পুলিৎজার পুরস্কার ও বিশ্ব প্রতিক্রিয়া

এই ছবির জন্য কেভিন কার্টার ১৯৯৪ সালে পুলিৎজার পুরস্কার লাভ করেন। এটি ছিল সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক গভীর মানবিক বার্তাবাহী ছবি। তবে প্রশংসার পাশাপাশি ছবিটি তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়।
অনেকে প্রশ্ন তোলেন—“তিনি কেন শিশুটিকে সাহায্য করেননি?”


😔 মানসিক চাপ ও করুণ পরিণতি

চলতে থাকা বিতর্ক, আগের রিপোর্টিংয়ের মানসিক ক্ষত এবং সহকর্মীর মৃত্যু—সব মিলিয়ে কেভিন কার্টার চরম বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন।
১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই, তিনি আত্মহত্যা করেন। একটি সুইসাইড নোটে তিনি লেখেন:

“I am haunted by the vivid memories of killings & corpses & anger & pain…”

তিনি মারা যান মাত্র ৩৩ বছর বয়সে।


📢 ছবিটির তাৎপর্য

আজও এই ছবি সাংবাদিকতা, নৈতিকতা ও মানবিকতার এক শক্তিশালী প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, শুধু ছবি নয়—প্রতিটি ফ্রেমের পেছনে থাকে এক গভীর বাস্তবতা।


📌 তথ্যসূত্র:

  • Pulitzer.org
  • The New York Times
  • Kevin Carter’s Biography

Share
Continue Reading
Click to comment

লিখেছেন: নুর হোসেন ইমাম

১৯৯৩ সালে তোলা একটি ছবি বিশ্ববাসীর বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ছবিটিতে দেখা যায়—একটি ক্ষুধার্ত শিশু ভূমিতে পড়ে রয়েছে, আর তার কিছু দূরে দাঁড়িয়ে আছে একটি শকুন, যেন মৃত্যুর অপেক্ষায়। এই হৃদয়বিদারক মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ফটোসাংবাদিক কেভিন কার্টার (Kevin Carter)


🖼️ ছবিটির নাম ও প্রেক্ষাপট

ছবিটির নাম: “The Vulture and the Little Girl”
স্থান: আয়োদ, সুদান
সময়: ১৯৯৩ সাল
ছবির পটভূমিতে ছিল আফ্রিকার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ, যেখানে হাজার হাজার মানুষ খাবারের অভাবে মৃত্যুর মুখে পড়ছিল। শিশুটি (যা পরে জানা যায়, একটি ছেলে ছিল) নিকটবর্তী একটি ত্রাণশিবিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।


🏆 পুলিৎজার পুরস্কার ও বিশ্ব প্রতিক্রিয়া

এই ছবির জন্য কেভিন কার্টার ১৯৯৪ সালে পুলিৎজার পুরস্কার লাভ করেন। এটি ছিল সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক গভীর মানবিক বার্তাবাহী ছবি। তবে প্রশংসার পাশাপাশি ছবিটি তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়।
অনেকে প্রশ্ন তোলেন—“তিনি কেন শিশুটিকে সাহায্য করেননি?”


😔 মানসিক চাপ ও করুণ পরিণতি

চলতে থাকা বিতর্ক, আগের রিপোর্টিংয়ের মানসিক ক্ষত এবং সহকর্মীর মৃত্যু—সব মিলিয়ে কেভিন কার্টার চরম বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন।
১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই, তিনি আত্মহত্যা করেন। একটি সুইসাইড নোটে তিনি লেখেন:

“I am haunted by the vivid memories of killings & corpses & anger & pain…”

তিনি মারা যান মাত্র ৩৩ বছর বয়সে।


📢 ছবিটির তাৎপর্য

আজও এই ছবি সাংবাদিকতা, নৈতিকতা ও মানবিকতার এক শক্তিশালী প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, শুধু ছবি নয়—প্রতিটি ফ্রেমের পেছনে থাকে এক গভীর বাস্তবতা।


📌 তথ্যসূত্র:


Share