রাজনীতি
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কিন্তু একইভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না— সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যানচেজ।
সম্প্রতি ইইউ নেতাদের হাতে পৌঁছানো একটি অপ্রকাশিত আন্তর্জাতিক রিপোর্টে জানানো হয়, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রায় ৫৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে বহু সাধারণ মানুষ ও ত্রাণকর্মীও রয়েছেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে স্যানচেজ এটিকে ‘যুদ্ধাপরাধজনিত মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে ইইউ-র বাণিজ্য চুক্তি বাতিল এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান। তার এ দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে আয়ারল্যান্ড। তবে ইইউ-র অধিকাংশ দেশ এখনো স্পেনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে। কারণ, নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হলে ইইউ-র ২৭টি সদস্য দেশের সর্বসম্মতি প্রয়োজন।
জার্মানি, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও বুলগেরিয়া এখনো ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যারৎস জানিয়ে দিয়েছেন, স্পেনের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল প্রতিবছর ইইউ-ভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করে এবং দেশটি আমদানির এক-তৃতীয়াংশই করে ইউরোপ থেকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইইউ-র অন্তত ১৫টি দেশ নিষেধাজ্ঞার পক্ষে থাকলে কিছু আংশিক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তবে আপাতত এ বিতর্ক ইসরায়েলকে সতর্ক করতেই বেশি কার্যকর হবে।