Connect with us

অপরাধ

বাইনচটকি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আনোয়ার হোসেনের দুর্নীতি ও রাজনৈতিক নাটক

Published

on

ছবি : সংগৃহীত


বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের বাইনচটকি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ওঠেছে একের পর এক ভয়াবহ অভিযোগ। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, তার কার্যকলাপ বিদ্যালয় ও সমাজে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

নুরুল ইসলাম মনির সাথে আনোয়ার

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে নিয়োগ পান আনোয়ার হোসেন, যিনি এলাকায় ‘মামলা আনোয়ার’ নামে পরিচিত। তার নামে একাধিক হয়রানি ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি রাজনৈতিক সুবিধাবাদী আচরণ করে ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে নিজের অবস্থান বদলেছেন—এক সময় আওয়ামী লীগ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকলেও এখন বিএনপির মঞ্চে সাবেক এমপির পাশে অবস্থান করছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে কালো টাকার সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কাকচিড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি পল্টু ওরফে “চাল চোর পল্টু” ছিলেন তার নিকট আত্মীয়, যিনি পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হন। অথচ নির্বাচনে জয়ী হয়ে যে প্রার্থী সদস্য পদে আসেন, তাকে রাজনৈতিক কারণে বঞ্চিত করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আনোয়ার হোসেন ভুয়া শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন, কাগজে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে মামলাও চলছে। তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করে রেখেছেন বলেও জানা যায়। এছাড়া ছাত্রদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে নিজ পকেটে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, প্রায় অর্ধ কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে তিনি সরাসরি জড়িত।

এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা বলেন, “সে নিজে স্কুল দখল করে স্থানীয় সম্মানিত ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এখন সে নিজেই বিএনপির নেতা সেজে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আইন অনুযায়ী এর বিচার হওয়া দরকার।”


বাইনচটকি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মতো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন অনৈতিকতা ও দুর্নীতি সমাজের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ, অনতিবিলম্বে এ ঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

Share


বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের বাইনচটকি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ওঠেছে একের পর এক ভয়াবহ অভিযোগ। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, তার কার্যকলাপ বিদ্যালয় ও সমাজে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

নুরুল ইসলাম মনির সাথে আনোয়ার

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে নিয়োগ পান আনোয়ার হোসেন, যিনি এলাকায় ‘মামলা আনোয়ার’ নামে পরিচিত। তার নামে একাধিক হয়রানি ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি রাজনৈতিক সুবিধাবাদী আচরণ করে ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে নিজের অবস্থান বদলেছেন—এক সময় আওয়ামী লীগ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকলেও এখন বিএনপির মঞ্চে সাবেক এমপির পাশে অবস্থান করছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে কালো টাকার সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কাকচিড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি পল্টু ওরফে “চাল চোর পল্টু” ছিলেন তার নিকট আত্মীয়, যিনি পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হন। অথচ নির্বাচনে জয়ী হয়ে যে প্রার্থী সদস্য পদে আসেন, তাকে রাজনৈতিক কারণে বঞ্চিত করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আনোয়ার হোসেন ভুয়া শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন, কাগজে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে মামলাও চলছে। তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করে রেখেছেন বলেও জানা যায়। এছাড়া ছাত্রদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে নিজ পকেটে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, প্রায় অর্ধ কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে তিনি সরাসরি জড়িত।

এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা বলেন, “সে নিজে স্কুল দখল করে স্থানীয় সম্মানিত ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এখন সে নিজেই বিএনপির নেতা সেজে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আইন অনুযায়ী এর বিচার হওয়া দরকার।”


বাইনচটকি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মতো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন অনৈতিকতা ও দুর্নীতি সমাজের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ, অনতিবিলম্বে এ ঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

Share